বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একাদশ পরিচ্ছেদ॥
২২৭

পালো অধিক দিনের পুরাতন হইলে, তাহা আতিক্ত হইয়া থাকে। সুতরাং তদ্বারা পায়স প্রস্তুত করিলে, তাহা-ও বিস্বাদ হইবার কথা। গোধূম-পালোর পায়স প্রস্তুত করিতে হইলে, অবিকল সুজির পায়সের ন্যায় পাক করিতে হয়।

ভুরার পায়স।

 সুজির পায়সের ন্যায় ভুরার অতি উপাদেয় পায়স প্রস্তুত হয়। দুগ্ধের সহিত মিলিত হইয়া ক্ষীরের ন্যায় হইয়া থাকে। যে নিয়মে সুজি ও সাগুদানার পায়স পাক করিতে হয়, এই পায়স পাক সম্বন্ধে-ও সেইরূপ নিয়ম। তবে সুজি ঘৃতে ভাজিয়া লইবার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু ভুরা ভাজিতে হয় না। দুধ অর্দ্ধেক মরিয়া আসিলে, তাহাতে উহা ঢালিয়া দিতে হয়। অনন্তর, চিনি প্রভৃতি মিষ্ট দিয়া, গাঢ় হইলে-ই নামাইবার ব্যবস্থা। নামাইয়া উহার উপর কর্পূর ছড়াইয়া দিলে, আস্বাদ অপেক্ষাকৃত সুমধুর হইয়া থাকে। এই পায়সে বাদাম, পেস্তা প্রভৃতি না দিলে-ও চলিতে পারে, তবে ঐ সকল দিয়া পাক করিলে, আস্বাদ আর-ও ভাল হয়।

চিনার পায়স।

 চিনা এক প্রকার ঘাসের বিচি, ইহাতে-ও পায়স হইয়া থাকে। কিন্তু ভুরার পায়সের ন্যায় এই পায়স তত সুখাদ্য নহে। কৃষ-