পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তির মন্ত্র প্রথম দৃষ্ঠ । দিতে হয় না দাও গে ; আমার কাছে বারদিগর ঘ্যান-ঘ্যান করতে এসো না | বু-ব্রাহ্মণ । হা ভগবান ! ছেলে পরিবারের হাত ধ’রে আমার রাস্তায় দাড়াতে হ’লো ! [ প্রস্থান । কালীকান্ত । বজ্জাতি ! বজ্জাতি । মৎলব এ টেছে, দেবে না । আচ্ছা, এইবার চাপ দিয়েছি—বাপ বলে কি না তাই দেখি ! গলদেশে রজুবদ্ধ গৌরহরি ও তৎপশ্চাৎ নিস্তারিণীর প্রবেশ । গৌরহরি। পড়িয়া গিয়া হাত-পা ছুড়িতে লাগিল । ] নিস্তারিণী । ওগো । আমার কি সৰ্ব্বনাশ হ’লে গো ! আমার বুকের ধন গৌরহরি বুঝি জন্মের মতন আমায় ফাকি দিয়ে পালিয়ে ষায় গো ! কালীকান্ত । আ ম র মাগী ! অমন ক’রে চেচাচ্ছিস কেন ? তুই বেটাই বা দড়িছেড়া দামড়াটার মতন এসে দুম ক’রে পড়লি কেন ? গৌরহরি । [ কাতরকণ্ঠে ] ও মা, যাই গো ! নিস্তারিণী । চোখথেকে ড্যাক্রা মিন্সে ! ই ক’রে দেখছো কি ? বাছা যে আমার নেতিয়ে পড়লো গো ! ওগো, আমার কি হবে গো ! কালীকান্ত । ভয় নেই গিল্পী, ভয় নেই ; তোমার গুণধর গৌরহরি মার্কণ্ডের আয়ু নিয়ে জন্মেছে । গলায় দড়ি কি অমন ক’রে দেয় ? ও যে গোয়ালের গরুর গলায় দড়ি বাধা হয়েছে। নিস্তারিণী । ওগো তুমি কি কসাই গো ! এমন চণ্ডালের হাতে ( 8 )