পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম দৃত । ] নমুক্তিল মলে আমি পড়েছিলুম গো ! ওরে আমার গৌরহরি রে ; ওরে বাপ আমার রে ! কালী কাস্ত । [ ব্যাঙ্গভরে ] রে-রে-রে-রে । [ গৌরহরির গলার দড়ি খুলিতে লাগিল ও নিস্তারিণী জল আনিতে ছুটিল । ] ওঠ হারামজাদা পাজী নচ্ছার কোথাকার ! গৌরহরি । মা গো ! নিস্তারিণীর জল লইয়া পুনঃ প্রবেশ । নিস্তারিণী । [ গৌরহরির মুখে চোখে জল দিতে দিতে ] ওগো, ডাক্তার—ডাক্তার—শীগগির ডাক্তার নিয়ে এস ! বাছা ষে আমার চোখ মিলে চায় না গো ! ওগো, আমার গৌরহরি বুঝি আমায় ফাকি দিয়ে চ’লে গেল গো ! [ ক্ৰন্দন ] গৌরহরি । মা গো, এ যাত্রায় তোমরা আমায় বাচিয়ে তুল্লে ও আমি মরবো ; এ প্রাণ আমি আর রাখবো না । নিস্তারিণী । বালাই ! ষাট । অমন কথা ব’লো না বাবা ! কৰ্ত্তী তোমায় টাকা দেয়নি ব’লে কি এমন রাগ করতে হয় বাবা । টাকা ষে ওর শয়ে দিতে হবে! তুচ্ছ পাচশো টাকা আগে, না ছেলে আগে ? তুই স্তাকুরা ডাকিস, আমি আমার গায়ের গহনা বেচে তোকে টাকা দেবো । গেীরকে ধরিয়া লইয়া প্রস্থান । কালীকান্ত । ওরে আমার সর্বনাশ করিস নি, আমার গলায় পা দিয়ে মারিস নি ! হায়-ছায়-হায় ! পাচ পাচশো টাকা । [ প্রস্থান ।