পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীলক্ষ্ম দ্রুশ্য । বেলুড়—ষ্টেশন-সান্নিধ্য পথ । ছিন্ন-ভিন্নবেশে ক্ষুধা-তৃষ্ণাকাতর উপেন্দ্রের প্রবেশ । উপেন্দ্র । চাকরী ! চাকরী ! চাকরী । ঘরের আসবাব, ঘটিবাটি জামা-কাপড় যা কিছু ছিল, চাকরীর উমেদারী করতে করতেই সব গেল ; বাকী আছে প্রাণটুকু, তাও বুঝি আর বঁাচে না ! বৃথাই B, A, পাশ করেছিলুম ! এই Graduate উপেন ঘোষের জীবনের চেয়েও একটা কুলীর জীবনেরও কিছু মুল্য আছে । [ উপবেশন | প্রবোধের প্রবেশ । প্রবোধ স্বগত ] লোকটাকে যেন চেনা-চেনা ব’লে বোধ হ’চ্ছে যে! হাঃ উপেন্দ্রের মুখের দিকে একদৃষ্টে তাকাইয়া দেখিতে লাগিলেন । ] উপেন্দ্র । চিনেও চিনে উঠতে পারছে না, কেমন ? চেনবার চেহারা কি আর আছে ভাই ? প্রবোধ । তোমার এমন দশা কেন উপেন দা ? উপেন্দ্র । চাকরীর জন্য সবুর স’য়ে স’য়ে এই মেওয়া ফলেছে। এই বেলুড়ের একটা ভদ্রলোক E. I. R, Head officeএ চাকরী ক’রে দেবার আশা দিয়েছিলেন, তাই আজ ছুটীর দিনে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলুম। প্রবোধ । কোনো উপায় হ’লে ? ( ७ )