পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দৃশ্য । ] মুক্তিল মন্ত্র প্রবোধ। আপনি ঠিক বুঝতে পাচ্ছেন না ; আমার চলতি Businessটা নষ্ট হ’য়ে যাচ্ছে । ঘনখাম । যাক না ! তোমার পৈতৃক সম্পত্তি যা নষ্ট ক’রে ফেলেছ, তার তুলনায় তোমার কয়লার কারবার তো ধরতে গেলে কিছুই নয় । তোমার মাতামহ ওই সম্পত্তিটুকু তোমার স্ত্রীর নামে দানপত্ৰ ক’রে দিয়েছিলেন, আর আমি তাকে এখনও আগলে রেখেছি, তাই সেটা আজও আছে । আমি ভেবে রেখেছি বাবাজী, যদি কখনও তোমাকে সংশোধিত অবস্থায় ফিরে পাই, তখন ওই সম্পত্তিটুকুকেই উপলক্ষ ক’রে, তোমাকে আবার দাড় করিয়ে দেবো । আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ ক’রে না বাবা । প্রবোধ ! এ আপনার যথেষ্ট অন্ত নয়, আপনি অনধিকারচর্চা করছেন । আমার ভাল মন্দ আমি নিজে বোধ হয় ভালই বুঝি ; আপনি আমার প্রস্তাবে তা হ’লে সম্মত নন ? ঘনশুমে “না” বলা ছাড়া আমার তো আর অন্ত উপায় দেখছি না ! বাপের পয়সা তো তুমি সবই খুইয়েছ, মেয়ের গায়ে আমি ষে অলঙ্কার-পত্র দিয়েছিলুম, তা পৰ্য্যন্ত তার অজ্ঞাতসারে নিয়ে গিয়ে উড়িয়ে দিয়েছ । তোমার শেষ সম্বল এই সম্পত্তিটুকুকে আমায় বাচিয়ে রাখতে দাও । বোঝ—চরিত্রকে এখনও সংশোধন কর বাবাজী ! কমলা আমার সাক্ষাৎ কমলা, তার ভাগ্যেই একদিন তোমার উন্নতি হবে । তোমার ভাবনা ভেবেই মায়ের আমার সোনার অঙ্গ কালী হ’য়ে গেল ! প্ৰবোধ। আপনার তবে ওই সম্পত্তি নিয়েই খুলী থাকুন, আপনার কস্তার সঙ্গে আমি জন্মের মত সম্বন্ধ পরিত্যাগ ক’রে চ’ল্লেম । আর কখনও যদি আপনাদের মুখদর্শন করি তো— ( ১৩ )