পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নমুক্তিল্ল মন্ত্র [ তৃতীয় দৃশ্য। দলিলসহ কমলা আসিয়া প্ৰবোধের পদতলে পতিত হইল । বিমলা । ওকি ! ওকি ! কমলা । দিদি ! সম্পত্তি কি স্বামীর চেয়েও বড় ? বাবা ! দলিল উনি নিয়ে যান, সই ক’রে দিতেও আমি রাজী ! [ প্ৰবোধ দলিলগুলি কুড়াইয়া লইয়া চলিয়া গেল । ] বাবা ! মা আমার মৃত্যুশয্যায় শুয়ে শুয়ে আমাকে যা দিয়ে গেছেন, তা অমূল্য ; তার তুলনায় এ সম্পত্তির কোনও মুল্য নাই । বিমলা । কি দিয়ে গেছেন কমলা, মা তোকে কি দিয়ে গেছেন ? কমলা । মুক্তির মন্ত্র দিদি ! নারীর মুক্তির মন্ত্র । সে মন্ত্র, শুধু স্বামীপুজা—স্বামীসেবা—সৰ্ব্বতোভাবে স্বামীর মনস্তুষ্টি সাধন করা । আমার ভাগ্যে ঘা ঘটে ঘটুকু, স্বামীকে আমি অসন্তুষ্ট করতে পারবো না । [ প্রস্থান । বিমলা। ছিঃ-ছিঃ, কমলাটা এমন পাগলামী ক’রে বসলো বাবা ! ঘনখাম । এটাকে পাগলামী বলিস্নি বিমলা ! ওই মহামস্ত্রে যিনি ওকে দীক্ষিত ক’রে গেছেন, তিনি যে তোরও গর্ভধারিণী । এ কথা অন্তের বল সাজতে পারে, কিন্তু তোর মুখে তা মোটেই শোভা পায় না মা ! [ উভয়ের প্রস্থান । S8 ) {