পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=মুক্তিলু মন্ত্র [ চতুর্থ দৃশ্য । গৌরহরি । [ উদ্ধনেত্ৰে কঁাপিতে কঁাপিতে বসিয়া পড়িল । ] নিস্তারিণী । ওকি বাবা ! অমন করছিস্ কেন গৌর ? গৌরহরি । [ শুইয়া পড়িয়া গো গো করিতে লাগিল। ] নিস্তারিণী । গেীর ! ও গেীর ! তোর কি হ’লো বাবা ? গৌরহরি। ওই লালপেড়ে শাড়ী—এক কপাল সিন্দুরপর-ওই যে, ওই যে হাত নেড়ে আমায় ডাক্‌ছে ! নিস্তারিণী । ও মাগো, বাছাকে যে পেত্নীতে পেয়েছে গো ! গৌরহরি । পানের পিচ –আমার গায়ে পানের পিচ– নিস্তারিণী । ওগো ! তুমি শীগগির এস গো ! ছুটে এস গো ! সিন্দুকের চাবীহস্তে কালীকান্তের প্রবেশ । কালীকান্ত । পেয়েছ ? পেয়েছ ? টাকাকড়ি কিছু বেটাচ্ছেলের কাছ থেকে পেয়েছ ? নিশ্চয় আছে, ওর কাছেই আছে ; বার কর হারামজাদা, জুতিয়ে আটা উড়িয়ে দেবো জনিস ? নিস্তারিণী । ওমা, সে কি কথা গো ! তোমাকে শুদ্ধ ভূতে পেলে না কি ? টাকা ? টাকা কিসের ? কালীকান্ত । তা হ’লে বামাল পাওয়া যায় নি ? তবে “এস গো, শীগগির এসে গে” ক’রে বাড়ী মাপায় করছিলে কেন ? বেটাচ্ছেলে কি শয়তান গো ! হ্যা রে ও হারামজাদা, সিন্দুক থেকে কি বার করেছিস ? কোথায় রেখেছিস শীগগির বল, নইলে আজ তোকে খুন ক’রে ফেলবো । গৌরহরি। পানের পিচ—আমার গায়ে পানের পিচু— কালীকান্ত । সিন্দুকের চাবিটা বালিশের নীচে রেখে, মাত্র দু’মিনিটের জন্ত মুখ হাত ধুতে গেছি, এর মধ্যেই সাফ! ( అ )