পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ দৃশ্য । ] মুক্তিলু মন্ত্র নিস্তারিণী । কে নিয়েছে ? গেীর ? কালাকা স্ত। নিশ্চয় ! আমি দিব্বি ক’রে বলতে পারি, এ আর কারও কাজ নয় ; বাইরের চোর হ’লে সব্বস্ব নিয়ে যেতে । নিস্তারিণী । তোমার মতন হাড়-কিপ্লিনের পয়সা চোরে বাটপাড়েই লুটে থাবে । আমার ছেলের নামে মিথ্যে বদনাম দি ও না বলছি ; বাছাকে আমার পেত্নীতে পেয়েছে। চোখথেকে ! চোখের মাথা খেয়ে তার দুর্দশাট দেখছে না ? কালীকা স্তু । তুর্দশার এখনও অনেক বা কী আছে গিল্পী, দেখে ফুরুতে পারলে হয় । পেত্নীতে তো পেয়েইছে, নইলে আমার সিন্দুকে হাত পড়বে কেন ? গৌরহরি পানের পিচ —আমার গারে পানের পিচ — কালী কান্ত । ও পেত্নী কি ক’রে ছাড়াতে হয়, তা আমি জানি । চাবুকে লাল ক’রে পেত্নী ছাড়াবো, দেখবে ? নিস্তারিণী । খবরদার বলছি, আমার বাছার গায়ে হাত দিলে আমি মাস খুঁড়ে রক্তগঙ্গা করবো । শীগগির রোজা ডাক ; আমি ছেলেকে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শোওয়াই গে । কালীকান্ত । দূর হয়ে যাও, মায়ে পোয়ে এখনই আমার বাড়ী থেকে দূৰ হ’য়ে যাও। যাই, এখন সিন্দুক খুলে সব গুণে-গেথে দেখিগে । লক্ষ্মীবার – ভর সন্ধ্যেবেলা—কি সৰ্ব্বনাশ । [ প্রস্থান । নিস্তারিণী । ওঠ বাবা, ওঠ ; চল — ঘরে গিয়ে শোবে চল । গৌরহরিকে লইয়া প্রস্থান ।