পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তিল মন্ত্র [ অষ্টম দৃশ্য । কমলা । মিথ্যে বললে আমার মাথা থাবে দিদি ! সত্যি কথা বল না ? তার বন্ধু উপেনবাবু কাল বাবাকে যে খবর দিয়ে গেছেন, তাতে তার বঁচিবার আশা কি ? বিমল: যথেষ্ট আছে । এই দারুণ বিপদের দিনে জগদীশ্বরের করুণার দান তার বন্ধু উপেনবাবু। প্রবোধ বাবুকে খালাস করবার জন্ত ভদ্রলোক জীবন পণ ক’রে ঘুরছেন । তার পরিচিত কে একজন গোয়েন্দাবাবুকে তিনি হাত করেছেন, তার সাহায্যে আসল আসামী নিশ্চয়ই ধরা পড়বে। কমলা । বাবা কোথায় দিদি ? বিমলা । ভোরে উঠেই উপেনবাবুর সঙ্গে দেখা করতে ক'লকাতায় ছুটেছেন । র্তার কি আর আহার নিদ্রা আছে বোন ? নেপথ্যে ঘনখাম । মা মঙ্গলচণ্ডী মুখ তুলে চেয়েছেন : এ বিপদ থেকে মুক্তি পাবো, তা আর আমার মনে ছিল না । বিমলা । আ:—বাচলুম ! চল—চল, প্রবোধবাবু খালাস হ’য়ে (aび凡び5日 { উভয়ের প্রস্তান । ঘনশ্যাম, প্রবোধ ও উপেন্দ্রের প্রবেশ । প্রবোধ । কোন ও চিঠি লিখে আমার বাড়ীতে এ দুর্ঘটনার থবর পাঠানো হয়েছিল কি ? উপেন্দ্র । না, তোমার বৃদ্ধ মা-ঠাকরুণটাকে উদ্ব্যস্ত করাটা আমরা মোটেই ভাল বিবেচনা করিনি । প্রবোধ । এই কাজটা না ক’রে খুব ভাল করেছ । তুমি আমার প্রকৃত বন্ধু উপেন দা ! তোমার ঋণ আমি জীবনে শোধ করতে পারবে না ।