পাতা:মুক্তির মন্ত্র - সুরেশচন্দ্র দে.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম দৃশ্য। ] মুক্তিল্ল মল্ল উপেন্দ্র । এ সব কাজগুলো বন্ধুতেই তো ক’রে থাকে দাদা ! বন্ধুবান্ধব তবে কিসের জন্ত ? ঘনশুাম । অনেকের অনেক বন্ধু দেখেছি বাবাজী ! কিন্তু তোমার মত বন্ধু আমি আমার জীবনে এই প্রথম দেখলুম। যাক প্ৰবোধ, তুমি স্নান করবার ব্যবস্থা কর । এস বাবা উপেন, গরীবের বাড়ীতে দুটা শাকান্ন না থেয়ে আজ আর তোমার যাওয়া হবে না । প্রবোধ । তাই কর উপেন দা, আজি এইখানেই আহারাদি ক’রে যাও । উপেন্দ্র । আমাদের পাচজনকে যা আপ্যায়িত করবার, তা তো। সেই আদালত থেকে বেরিয়ে ইস্তক করছিস্ ; কিন্তু এখানে এসেই তোর প্রথম কৰ্ত্তব্য যা ছিল, তা তো কৈ এখনও করলি না ! এই দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে অবধি তোর স্ত্রীর কি অবস্থা হয়েছে জানিস ? যা—যা, তার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চা’ গে যা । আমি প্রকৃতপক্ষে পরম আপ্যায়িত হবে তখন, যখন তুই তোর সাধ্বী স্ত্রীর প্রতি লাভ ক’রে এসে আমার সামনে স্বীকার করবি যে তুই নরক থেকে উদ্ধার হ’য়ে এসে স্বর্গে স্থান পেয়েছিস্ । চলুন মশায়, আপনার নিমন্ত্রণ আমি সানন্দে গ্রহণ করলুম। ঘনশ্যাম । এস বাবাজী ! [ উপেন্দ্রের সহিত প্রস্থান । কমলার প্রবেশ । [ কমলা আসিয়া প্রবোধকে প্রণাম করিল ; প্রবোধ যখন তাহাকে হাত ধরিয়া তুলিল, তখন কমলা তাহার বক্ষলগ্ন হইয়া কাদিতে লাগিল । ] { ಲಿ! )