পাতা:মুদ্রারাক্ষস (হরিনাথ শর্ম্মা).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ং ৬ মুদ্রারাক্ষস । হইবে । সে কহিল তোমার উপাধ্যায়ই তাহা বুঝিবেন, তুমি অতি সরলবুদ্ধি কেবল এই পর্যন্ত বুঝিতে পার যে চন্দ্র কমলের নিতান্ত অনভিমত, কিন্তু সে স্বয়ং মনোহর হইয়াও পরম-মনোহর পূর্ণচন্দ্রের প্রতি কি মিমিত্ত বিদ্বেষ প্রকাশ করে, তাহ। কিছুই বুঝিতে পার না । চাণক্য অত্যন্তর হইতে এই কথা শুনিয়া মনে করিলেন এ ব্যক্তি চন্দ্রগুপ্তকে লক্ষ্য করিয়াই বলিতেছে সন্দেহ নাই । শিষ্য কহিলেন আরে তুইত অসমৃদ্ধ কথা কহিতেছিস্ । সে কহিল, যদি উপযুক্ত শ্রোভা পাই তাহহইলে সকলই সুসমৃদ্ধ হইবে । এ কথায় চাণক্য স্বয়ং বাহিরে আসিয়। কহিলেন, অহে তুমি মনোমত শ্ৰোতা পাইবে অভ্যন্তরে প্রবেশ কর । আতঃপর সে প্রবেশপুৰ্ব্বক চাণক্যচরণে প্রণাম করিয়া নির্দিষ্ট আসনে উপবিষ্ট হইল। এই ব্যক্তিকে চাণক্য প্রকৃতিচিত্ত পরিজ্ঞানে প্রেরণ করিয়াছিলেন, ইহার নাম নিপুণক । চাণক্য নিপুণককে আত্মনিযোগ-র স্তান্ত বর্ণন করিতে কহিলে, সে বলিল মহাশয়, আপনকার স্বনীভিপ্রভাবে অপরাগের কারণ সকল অপনীত হইয়াছে, প্র জামধ্যে কেহই রাজা চন্দ্রগুপ্তের প্রতি বিরক্ত নহে । কেবল তিন জন, রাজবিদ্বেষী হইয়াও, অদাপি নগর মধ্যে বাস করিতেছে । অনস্তুর চাণক্য তাহাদিগের নাম