পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >切r মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । স্থান আছে, তথায় কিম্বা যমুনানামী তাহার প্রাচীন পুষ্করিণীর নিকটস্থ কোন স্থানে উক্ত শিবমন্দির ছিল, তাহা বুঝা যায় না। যমুনা পুষ্করিণী হইতে কতকগুলি প্রস্তরখণ্ড উত্তোলিত হইয়াছে। সেই সমস্ত প্রস্তরখও দেখিয়া বোধ হয় যে, তাহার নিকটে কোন একটা দেবমন্দির ছিল, কিন্তু পুৰ্ব্বোক্ত শিবমন্দির তথার কিম্ব ঠাকুরডাঙ্গায় ছিল, তাহ অবগত হওয়া কঠিন । মুর্শিদাবাদের ভূতপূৰ্ব্ব ইঞ্জিনিয়ার কাপ্তেন লেয়ার্ড সাহেব ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে রাঙ্গামাটীতে যে সমস্ত প্রাচীন চিহ্ন দর্শন করিয়াছিলেন, এক্ষণেও প্রায় সে সমস্ত দেখিতে পাওয়া যায় । তাহার উল্লিখিত রাক্ষসীড়াঙ্গ ও রাজবাড়ীডাঙ্গ অদ্যাপি বিদ্যমান আছে। এই রাক্ষসীডাঙ্গা একটী ক্ষুদ্র পাহাড়ের দ্যার উচ্চ, ও অসংখ্য ইষ্টকখণ্ডে পরিপূর্ণ। তাহার নীচে একটা বটবৃক্ষ। বৃক্ষের তলে পীর তুর্কান সাহেব নামে একজন মুসন্মান ফকীরের সমাধি। রাক্ষসীড়াঙ্গাসম্বন্ধে এইরূপ প্রবাদ আছে যে, লঙ্ক হইতে একটী রাক্ষসী আসিয়া তথায় বাস করে। রাজা প্রতিদিন তাহার সহিত তর্ক করিবার জন্য একজন করিয়া পণ্ডিত পাঠাইতেন । পণ্ডিতেরা তর্কে পরাজিত হইলে, রাক্ষসী তাহাদিগকে ভক্ষণ করিত। পীর তুর্কান সাহেব রাক্ষসীকে পরাজয় ও বধ করিয়া ঐ স্থানে অবস্থিতি করেন, অবশেষে তাহার মৃত্যু হইলে, তথায় তাহার সমাধি হয়। তাহার সমাধিতে ইষ্টকসংযোগের আদেশ নাই, সেইজন্ত তাহা একটা খড়ের চালার মধ্যে অবস্থিত । সমাধির নিকটে অসম্পূর্ণ ইষ্টকপ্রাচীর বেষ্টিত একটা ভিত্তি দৃষ্ট হইয়া থাকে, সম্ভবতঃ তথায় একটা মসজীদনিৰ্ম্মিত হইতেছিল । রাক্ষলীডাঙ্গার উত্তরে পীরপুকুর নামে একটা পুষ্করিণী আছে।