পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । > 8電 বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী হইলেও হিন্দুধর্মের প্রতি তাহদের অনুরাগের অভাব ছিল না। ধৰ্ম্মপালপ্রভূতির বিবরণে তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যার। সাগরদীঘীর নাম লইয়। এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, উক্ত দীঘী খনিত হইলেও তাহার গর্ভ হইতে জল বহির্গত হয় নাই । রাজা মহীপালের প্রতি এইরূপ স্বপ্রাদেশ হয় যে, সাগরনামে কুম্ভকার দীর্ঘীর মৃত্তিক খনন করিলে জল উঠিবে। * রাজা সাগরকে আহবান করাইয়া সেইরূপ করিতে বলিলে, সাগর রাজাদেশ পালন করে, এবং দীর্ঘীও জলে পরিপূর্ণ হইয় উঠে। সেই জন্ত সাগরের নামানুসারে তাহ সাগরদীধী নামে প্রসিদ্ধ হয়। এই প্রবাদের কোন মূল আছে বলিয়া জানা যায় না, সাগরদীঘীর শ্লোকে ইহার কোন উল্লেখ নাই । উক্ত শ্লোকে সাগরদীঘীসম্বন্ধীয় প্রায় সমস্ত বিষয়েরই উল্লেখ আছে, অথচ এইরূপ একটা গুরুতর ঘটনার উল্লেখ না থাকায় উক্ত প্রবাদে বিশ্বাসস্থাপন করা যায় না । সাগরের দ্যায় বিশাল আকারের জন্য উক্ত দীঘী সাগরদীঘী নামে অভিহিত হয়। গৌড়ে লক্ষ্মণসেনের খনিত এক বিশাল দীঘীও সাগরদীঘী নামে অভিহিত হইয়া থাকে। সুতরাং সাগরদীঘীর বিশালত্বের জন্য যে উহার উক্ত নাম হইয়াছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই ৷ সাগরদীঘীর যে শ্লোক প্রচলিত আছে, তাহাতে লিখিত আছে যে, ব্ৰহ্মহত্যার

  • কুম্ভকারদের মধ্যে সাধারণতঃ পাল উপাধি দেখিতে পাওয়া যায়।

সাগরপাল নামে মহীপালের কোন আত্মীয় পরে সাগর কুম্ভকার নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছেন কিনা বুঝা যায় না। সাগরীর মোকে সাগরপাল বা সাগর কুম্ভকারের কোনই উল্লেখ না থাকায় উক্ত প্রবাদের আলোচনীর বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখা যায় না। - 2 o'

ジ3.