পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&ビ মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । আট আন ভাবের কুলীন বলিয়া পরিচিত। তন্মধ্যে প্রথমোক্ত তিন ভাবের কুলীনেরা ক্রমাছুযায়ী কৌলীন্তমৰ্য্যাদায় সমাজে বিশেষরূপে আদৃত। অন্যান্ত কায়স্থসমাজের ন্যায় ইহঁাদিগের মধ্যেও সমীকরণ প্রথা প্রচলিত আছে, তাহাকে সভা কহে । সভায় কুলীনদিগকে মাল্যচন্দন প্রদান করা হয়। উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থসমাজে বিংশতি বার সভা আহবানের কথা শুনা যায়। এক্ষণে উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থগণ বঙ্গের নানাস্থানে বাস করিয়া ভিন্ন ভিন্ন সমাজে বিভক্ত হইয়াছেন, কিন্তু ফতেসিংহ সমাজই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া গণ্য । সোমেশ্বর ঘোষ যে সৰ্ব্বপ্রথমে পশ্চিম মুর্শিদাবাদের অন্তর্গত যজীনগ্রামে আসিয়া বাস করেন, ইহা বারম্বার গণি উল্লিখিত হইয়াছে। উক্ত যজানগ্রামে সৰ্ব্বমঙ্গলনামে দেবীর মন্দির আছে। সৰ্ব্বমঙ্গল সোম ঘোষের প্রতিষ্ঠিত বলিয়া কথিত । সৰ্ব্বমঙ্গল সম্বন্ধে এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, পুৰ্ব্বে তিনি যজানগ্রামের অন্য স্থানে অবস্থিতি করিতেন, সোমেশ্বর তাহাকে তথা হইতে আনিয়া বর্তমান স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেন। আবার কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে, সোমেশ্বর তাহার পূর্ব বাসস্থান হইতে দেবীকে আনয়ন করিয়াছিলেন । সৰ্ব্বমঙ্গলার বর্তমান মন্দির সোমেশ্বরের নিৰ্ম্মিত বলিয়া বোধ হয় না। সোমেশ্বরের নিৰ্ম্মিত মন্দির বহুবার সংস্কৃত হইয়া এক্ষণে তাহ বর্তমান আকারে উপনীত হইয়াছে। রামেশ্বর দাস নামে এক জন সাধু দেবীর সেবার জন্য অনেক ভূভাগ প্রদান করিয়াছিলেন। তাহার নিত্য পুজা ও ভোগাদির ব্যবস্থা নিতাস্ত মন্দ নহে। WS লোমেশ্বল্প ।