পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । >b。 উক্ত মগুফীবাদ এক্ষণে সেখের দীঘী নামে অভিহিত হইতেছে। হোসেন সাহ আবু সৈয়দের জীবিকা ও বাসের বন্দোবস্ত করিয়া স্বদেশ হইতে র্তাহার স্ত্রী, পুত্র, পরিবারবর্গকে আনাইয়া দেন, এবং তাহার আদেশক্রমে সেখের দীর্ঘীর পশ্চিমে মগুফীবাদ মৌজায় আৰু সৈয়দ ও র্তাহার পরিবারবর্গের বাসোপযোগী গৃহাদি নিৰ্ম্মিত হয় । সেখের দীর্ঘীও র্তাহীদের অধিকারে আইসে । সেখের দীর্ঘীতে ছয়ট বাধা ঘাট ও তাহার পশ্চিম পাহাড়ে একটা মসজীদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। আৰু সৈয়দের মহিমার জন্য হউক বা না হউক, ৰ্তাহাকে স্ববংশীয় ও ধৰ্ম্মপরায়ণ জানিয়া হোসেন সাহা যে তাহাকে তথায় বাস করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। আবু সৈয়দের বাসের পর সেখের দীর্ঘীতে ও তাহার নিকটস্থ স্থানে অনেক লোকের বসতি হয়, ক্রমে ক্রমে সেখের দী একটা গওগ্রাম হইয়া পড়ে । এক সময়ে তাহ এরূপ প্রসিদ্ধ হইয়া উঠে যে, তথায় অনেক দ্রব্যের আমদানী ও রপ্তানী হইত, এবং সেই সময়ে বিদেশীয় লোকদিগের বাসের জন্য তথায় সরাইপ্রভৃতি স্থাপিত হইয়াছিল। এক্ষণে উহ। তাদৃশ গওগ্রাম না হইলেও একটা স্ববৃহৎ পল্লী। আবু সৈয়দের মৃত্যু হইলে তিনি দীর্ঘীর পশ্চিম পাহাড়ে সমাহিত হন। তাহার সমাধি অদ্যাপি বিদ্যমান আছে, এবং তাহারই নিকটে সেখের দীঘীর প্রস্তরফলক পতিত রহিয়াছে। আবু সৈয়দবংশীয়গণ অদ্যাপি সেখের দাবীতে বাস করিতেছেন । তদ্বংশীয় সৈয়দ সাহাবাজ আলি ও তৎপুত্র আবদুল্ রব, উক্ত অঞ্চলের সন্মাননীয় ব্যক্তি । -