পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। २४-७ অবশেষে বন্দী-অবস্থায় ফৌজদারের নিকট নীত হয়। নগরে এইরূপ প্রচার হয় যে, উক্ত তিন জন ইংরাজ সৈন্তের মধ্যে দুই জন মুতকল্প হইয়। রাজপথে পড়িয়া রহিয়াছে। এই সম্বাদে ইংরাজদিগের কাপ্তেন লেসলি এক দল সৈন্ত লইয়৷ সেই আহত সৈনিক দুইটার মৃত বা জীবিত দেহ আনয়নের জন্ত অগ্রসর হন, কিন্তু নবাব সৈন্যেরা তাহাকে সম্পূর্ণরূপে বাধা প্রদান করে । মোগল অশ্বারোহী ও পদাতিক সৈন্তগণ ইংরাজ সৈন্তদিগকে আক্রমণ করিয়া পরাভূত হওয়ার সম্ভাবনায়, নগরমধ্যে অগ্নিক্রীড়া আরম্ভ করিল, এবং তাহদের বুরুজ হইতে কামানসকল ইংরাজদিগের নৌকা ও জাহাজের প্রতি অগ্নিবৃষ্টি করিতে লাগিল। অল্পক্ষণের মধ্যে ইংরাজকুঠার চারিপাশ্বের কুটারসকল প্ৰজলিত হইয়া কুঠভবনকে অগ্নিশিখা দ্বারা পরিবেষ্টিত করিয়া তুলিল । * সেই সময়ে অধিকাংশ ইংরাজ সৈন্ত চন্দননগরে অবস্থিতি করিতেছিল। তাহাদের আগমনের পূৰ্ব্বে কাপ্তেন রিচার্ডসন মোগল বুরুজ আক্রমণের জন্য প্রেরিত হইয়া পরাভূত হন। ইতিমধ্যে চন্দননগরস্থ ইংরাজ সৈন্ত আসিয়া উপস্থিত হইলে, তাহদের নেতা কাপ্তেন আরবুর্থনট বুরুজ আক্রমণ করিয়া অধিকার করিয়া বসেন। ইংরাজদিগের জয়লাভের প্রারস্তে ফৌজদার আবদুল গণি হুগলী পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করেন । নদীবক্ষ হইতে ইংরাজ সৈন্তের ঘন ঘন কামানবৃষ্টিতে হুগলী নগরে মহান উৎপাত ংঘটিত হইল। এই যুদ্ধে মোগল ও ইংরাজ উভয় পক্ষের

  • ষ্টয়ার্ট বলেন যে, সেই সময়ে নদীবক্ষ হইতে নিকলসনের সৈন্তের গোলাবৃষ্টি করায় তাহাতেই ইংরাজ কুঠীতে অগ্নিসংযোগ হয়।