পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়। ৩৬৭ পাইয় প্রথমতঃ মহম্মদ জান নামে নিজের এক জন অনুচরকে পাঠাইয়া দিলেন। পরে প্রাসাদরক্ষক প্রহরী ও কতিপয় সৈন্ত্যের সহিত হস্তীপৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া রশীদ খাঁর দিকে অগ্রসর হইলেন। সেই সময়ে রসীদ খা মুর্শিদাবাদের নিকটেই উপস্থিত হইয়াছিলেন। কুলী খার আগমনে র্তাহার সৈন্তগণ উৎসাহিত হইয়া উঠিল এবং দ্বিগুণ পরাক্রমের সহিত আবার যুদ্ধ আরম্ভ করিল। তাহাদিগের আক্রমণে শত্ৰপক্ষীয় সৈন্যগণ অস্থির হইয়া উঠিল। যখন উভয় পক্ষে ঘোরতর যুদ্ধ হইতেছিল, সেই সময় বীর বাঙ্গালীর হস্ত হইতে একট তীর রসীদ খাঁর ললাট বিদ্ধ করিয়া তাহাকে একেবারে ভূমিশায়ী করিয়া ফেলে। আপনাদিগের নায়কের ছৰ্দশ অবগত হইয় তাহার সৈন্তগণ ছত্রভঙ্গ হইয়া ইতস্ততঃ পলায়ন করিতে আরম্ভ করে। তাহাদের মধ্যে অধিকাংশ ধৃত ও বন্দী হয়। কুলী খাঁ জয় লাভ করিয়া নগর মধ্যে প্রবেশ করিলেন এবং এই বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ দিল্লীর পথে একটী স্তম্ভ স্থাপিত হইয় তাহার প্রত্যেক কোণে রসীদ খাঁ ও র্তাহার অনুচরবর্গের মস্তক রক্ষিত হইল। রসীদ খাঁর মৃত্যুসংবাদে ফরখসের অত্যন্ত দুঃখিত হন এবং সেই সময়ে সংবাদ আসে যে, খ জাহানও শকরৗগলির দ্বার অধিকার করিয়াছেন। কিন্তু সেই সময়ে জাহান্দরের পুত্ৰ এজুদ্দীন আগরার নিকটে উপস্থিত হওয়ায়, ফরথসের তাহার গতিরোধের জন্ত আগরাভিমুখে যাত্রা করেন। গমনকালে তিনি ওলন্দাজদিগের নিকট হইতে ২ লক্ষ ও অন্তান্ত ব্যবসায়ীদিগের নিকট

  • মুসলমান লেখকগণ বলেন যে, মুর্শিদকুলী সৈন্ধী মস্ত্রের বলে বিপক্ষ দিগকে পরাজয় করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন ।

( তারিখ বাঙ্গল ও রিয়াজুস সালাতন )।