পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । 8©ጫ সহিত প্রজাদের ঘনিষ্ট সম্বন্ধ ঘটে। এই ভৌমিকগণ রীতিমত সৈন্ত রক্ষা করিয়া সীমান্তপ্রদেশের রাজাদিগকে বঙ্গরাজ্যের ভূমি স্বরাজ্যসাৎ করিতে দিতেন না, এবং ফিরিঙ্গী, মগ প্রভৃতি পরবর্তী অত্যাচারী জাতিদিগকে দমন করিয়া দেশমধ্যে শান্তি রক্ষা করিতেন । তাহারা পাঠান রাজাদের একরূপ করদ রাজারূপেই গণ্য হইতেন। কেবল যে সময়ে তাহারা সরকারের করদানে অসম্মত হইয়া স্বাধীন হইবার প্রয়াস পাইতেন, সেই সময়ে কেবল র্তাহদিগকে সরকার হইতে দমন করার চেষ্টা হইত। ভৌমিকগণ সরকার হইতে প্রায় উত্তরাধিকারীক্রমে নিযুক্ত হইতেন। তাহার আবার আপনাদিগের অধীনে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমীদারও নিযুক্ত করিতেন, তাহারাও প্রায় উত্তরাধিকারী ক্রমে নিযুক্ত হইতেন। পরে এই মধ্যবৰ্ত্তী জমীদারগণ তালুকদার নামে অভিহিত হন । পাঠান রাজত্বের শেষ সময়ে বাঙ্গলায় বার জন ভৌমিক প্রসিদ্ধ হইয় উঠেন, সেই জন্য বাঙ্গলাকে ‘বারভূইয়ার মুলুক বলিত। মোগলবিজয়ের প্রথমেও এই বারভূঁয়ার অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু তাহাদের মধ্যে অনেকে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করায়, এবং অনেক সময়ে তাহদের দ্বারা ক্ষমতার অপব্যবহার হওয়ায়, ক্রমে ভৌমিকী প্রথার লোপ হয়, এবং সেই সময়েই রাজ তোড়রমল্লের নূতন বন্দোবস্তের স্বচনা। তোড়রমলের বন্দোবস্তের পরও ভৌমিকদিগকে দমন করিতে আরও কিছু কাল অতিবাহিত হইয়াছিল। পাঠানরাজত্বকালে ভৌমিকগণ সরকারের নির্দিষ্ট করমাত্র প্রদান করিতেন, কিন্তু প্রজাদের নিকট হইতে কিরূপ অনুপাতে রাজস্ব আদায় হইত, অথবা কোন নির্দিষ্ট অনুপাতে হইত কিনা তাহা জানা যায় না। ভৌমিক ব্যতীত ত্রিপুর, কোচবিহার,