পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( - 8 মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । মহাসমারোহে বিবাহ সংসাধিত হইয়াছিল। তৎকালে তাহার দ্যায় অসীমরূপশালিনী কন্যা এতদঞ্চলে দৃষ্ট হইত না। যৌবনের প্রারম্ভে তাহার অলোকসামান্ত রূপলাবণ্যের কথা দেশবিদেশে বিস্তৃত হইয়া পড়ে। ক্রমে ক্রমে তাহ সরফরাজের কর্ণগোচর হয়। নবাব সেই অপ্তারাবিনিন্দিতরূপক্ষধা পান করিয়া, দর্শনেন্দ্রিয়ের তৃপ্তিসাধনের জন্ত ভয়ানক উৎসুক হইয়া উঠেন। কিন্তু তিনি জগৎশেঠকে মনে মনে ভয় করিতেন। নবাব জানিতেন যে, সম্রাটদরবারে মুর্শিদাবাদের নবাব অপেক্ষা শেঠদিগের সম্মান কোন অংশে নুনি ছিল না। সাধারণ লোকেও জগৎশেঠের বিশেষ রূপ বশীভূত ছিল, এবং তাহদের অর্থবৃষ্টিতে এমন কোন কাৰ্য্য ছিল না, যাহা সম্পন্ন হইতে না পারিত। নবাব অনেক দিন হইতে দৰ্শনলালসা পরিতৃপ্ত করার জন্য চেষ্টা করিতেছিলেন । মধ্যে মধ্যে এক এক বার তাহ দমন করারও প্রয়াস পাইয়াছিলেন। কিন্তু অবশেষে সে অদম্য বেগ কিছুতেই নিবৃত্ত হইল না। সমস্ত বাধা বিম্ব অতিক্রম করিয়া তাহা উচ্ছলিত হইয়া উঠিল। সরফরাজ প্রথমে জগৎশেঠের নিকট আপনার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। জগৎশেঠ স্বীয় বংশের মৰ্য্যাদার হানি হইবে বলিয়া তাহ অস্বীকার করায়, নবাব তাহার বাট প্রহরিবেষ্টিত করিতে আদেশ দেন। জগৎশেঠ যখন বুঝিতে পারিলেন যে, সহস্র অনুনয়বিনয়েও নবাব নিরস্ত হইতেছেন না, তখন স্বীয় বংশের ভবিষ্যৎ সম্মানের বিষয় চিন্তা করিয়া তিনি অগত্য নবাবের প্রস্তাবে সম্মত হন। নবাব শিবিক পঠাইয়া, জগৎশেঠের গৃহলক্ষ্মীকে নিজ ভবনে আনয়ন করেন, এবং প্রাণ ভরিয়া সেই পুণ্যের অখও ফলের স্তায় তাহার রূপসুধা পান করিয়া তাহাকে গৃহে যাইতে অনুমতি দেন। তিনি কেবল