বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মুর্শিদাবাদ কাহিনী.djvu/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
পরিশিষ্ট
৩৮৫

জলদী করে হুকুম দেরে নবাব জলদী করে, ঘােড় চড়ে যাব আমি সূতীর দরগাতে। সওয়া সের আটার নােয় পােয় ভর ঘী, একা লবে গােয়াসখী সকলের জী। গােয়াসখার ঘােড়া দেখে পান তৈয়ার করিল, সওয়া শত টাকার সিন্নি গােয়াসখাঁরে দিল। হায়গাে আল্লা বারিতাল, খােয়াব[] দিল রেতে, গােয়াসখার হবে লড়াই আলিবর্দীর সাথে। মার মার করে গােয়াসখী লড়াই করিল, কলার বাগান যেন ঝুড়িতে লাগিল। তীরে পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি পড়ে রহে, একেলা করিল লড়াই গােয়াসখা ঢাল মুড়ি দিয়ে। ভাল ভাল কামান সাজায়ে কামান করিল বিলি, নবাবের কামানে ভরে ইট আর বালি। [] কালিয়া মেঘের আড়ে যেন মেঘ চিকচিকে, গােয়াসখার তরবার যেন বিজলী ছটকে। দশ কাঠা নিয়ে গােয়াসখার ঘােড় ফিরে, হাজার হাজার পল্টন কাটে এক এক চক্করে। হাজার হাজার পল্টন কেটে ময়দান করিল, ভাল ঘােড়ায়[] চড়াইয়া নবাবকে বিদায় দিল। হাতী পড়িল দুলদুলিতে ঘােড়া পড়িল রণে, পাক্ষাদার ডুবাইল সাহস বিলের ঘােনে।[]

  1. স্বপ্ন।
  2. সরফরাজের কোন কোন কর্মচারী বারুদের ও গুলির পরিবর্তে যে ইট ও বালি কামানে পুরিয়াছিল, তাহারই উল্লেখ করা হইয়াছে।
  3. ইতিহাসে কিন্তু নবাবের হস্তিপৃষ্ঠে আরােহণের কথা দেখা যায়।
  4. কবিতাটি যেন অসম্পূর্ণ বলিয়া বােধ হয়, কিন্তু ইহার সম্পূর্ণ অংশের সংগ্রহের আর উপায় নাই।