বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেঘনাদ সমালোচন.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেঘনাদ সমালোচন।
১৩

লঙ্কাসমরে ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণের অবতরণ, মহাদেবের তপস্যা ভঙ্গ করিবার জন্য ভগবতীর মোহিনীবেশে গমন, মহাদেবের ইচ্ছায় পুত্ত্রবধামর্ষ-প্রদীপ্ত রাবণের বিপক্ষ সংহারার্থ রূদ্ররূপ ধারণ, মহাদেবের আদেশে অগ্নিদেবের দাহস্থলে আবির্ভাব ওচিতার ভস্মীকরণ প্রভৃতি ঘটনাগুলি কেবল যে বিস্ময়কর এরূপ নহে, ঐ সকল ঘটনার প্রতি জন-সাধারণের শ্রদ্ধাও জন্মিতে পারে। সত্য বটে, উপাখ্যানে বর্ণিত দুই একটী ঘটনার সহিত পৌরাণিক মতের ঐক্য হয় না, কিন্তু তাহাতে উপাখ্যানের দোষ হইতে পারে না। কবিগণের এরূপ রীতি আছে, যে তাঁহারা উপাখ্যানের কোন কোন অংশ নূতন করিয়া মহাকাব্যে নিবেশিত করিয়া থাকেন। মহাকবি কালিদাস প্রভৃতির গ্রন্থ পাঠ করিলে উহার অনেক প্রমাণ উপলব্ধ হইতে পারে।

 ষষ্ঠসর্গে বর্ণিত হইয়াছে, মেঘনাদ যেমন্দিরে বসিয়া অভীষ্ট সিদ্ধির নিমিত্ত ইষ্টদেবের আরাধনা করিতেছিলেন, লক্ষ্মণ বিভীষণ সমভিব্যাহারে মায়ার প্রভাবে অদৃশ্য হইয়া তথায় প্রবিষ্ট হন্। মেঘনাদ সহসা দেবাকৃতি তেজস্বী পুরুষকে সমাগত দেখিয়া অগ্নিদেব ভ্রমে উহাকে প্রণাম করেন, কিন্তু তাঁহার সহিত কথোপকথনের দ্বারা পরিশেধে মেঘনাদের