বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেঘনাদ সমালোচন.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
মেঘনাদ সমালোচন।

সেই ভ্রম ভঞ্জন হয়; তখন তিনি লক্ষ্মণকে কোষা ফেলিয়া মারেন, সেই কোষার আঘাতে লক্ষণ মূর্চ্ছিত হইয়া পড়েন। এই ঘটনাটী বাহ্য দৃষ্টিতে নিষ্প্রয়োজন বলিয়া অনেকের বোধ হইতে পারে, কিন্তু রাস্তবিক তাহা নহে। ঐ স্থলে বিভীষণের সহিত মেঘনাদের সাক্ষাৎ ও কথোপকথন বর্ণনায় অবসরলাভ করাই কবির লক্ষ্মণকে কিয়ৎক্ষণ মূর্চ্ছিত করিয়া রাখিবার প্রধান উদ্দেশ্য। যৎকালে লক্ষ্মণ মূর্চ্ছিত হইয়া ভূতলে পতিত থাকেন, ঐ সময়ে বিভীষণ দ্বারদেশে দণ্ডায়মান ছিলেন। মেঘনাদ প্রথমতঃ লক্ষ্মণের দেবদত্ত অস্ত্র টানিয়া লইবার চেষ্টা পান, কিন্তু তাহাতে অকৃতকার্য্য হইয়া অস্ত্রাগার হইতে অস্ত্র আনিবার সঙ্কল্প করেন ও দ্বারদেশে দৃষ্টিপাত মাত্র নিজ পিতৃব্য বিভীষণকে শূল হস্তে দণ্ডায়মান দেখিয়া চমকিয়া উঠেন ও বিষন্নচিত্তে তাঁহারে এই রূপে ভর্ৎসনা করিতে লাগিলেন।

এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে—
জানিনু কেমনে আসি লক্ষ্মণ পশিল
রক্ষঃপুরে! হায়, তাত, উচিত কি তব
এ কাজ, নিকষা সতী তোমার জননী,
সহোদর রক্ষঃশ্রেষ্ঠ? শূলীশম্ভু নিভ
কুম্ভকর্ণ? ভ্রাতৃপুত্ত্র বাসব বিজয়ী?