এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেঘনাদ সমালোচন।
১৭
সবিস্ময়ে রক্ষোরাজ কহিলা, “বাখানি
বীরপণা তোর্ আমি, সৌমিত্রি কেশরি!
শক্তি ধরাধিক শক্তি ধরিস্ সুরথি,
তুই; কিন্তু নাহি রক্ষা আজি মোর হাতে!”
বীর রসাশ্রিত কাব্যে স্বভাবানুযারি ও উন্নত ভাব সকল সন্নিবেশিত করা বিধেয়। গ্রন্থকার এই নিয়মটীর প্রতি সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টি রাখিয়া চলিয়াছেন। মেঘনাদে প্রায় কোন স্থলে এরূপ কোন ভার দেখিতে পাওয়া যায় না, যাহা অনৈসর্গিক ও হেয় বলিয়া বোধ হয়। মেঘনাদে উন্নত ভাবের বর্ণনা কিরূপ হইয়াছে, নিম্নে তাহার একটা উদাহরণ প্রদর্শিত হইতেছে।
পুত্ত্রশোকে কাতর রাবণের বিলাপ ও পরিতাপ শ্রবণে কৈলাসধামে গুরুবৎসল মহাদেবের অধীরতা।
অধীর হইলা শূলী কৈলাস আলয়ে!
লড়িল মস্তকে জটা; ভীষণ গর্জ্জনে
গর্জ্জিল ভুজঙ্গবৃন্দ, ধক ধক ধকে
জুজিল অনল ভালে; ভৈরব কল্লোলে
কল্লোলিলা ত্রিপখগা, রবিষায় যথা