কথোপকথনে যে সকল পদাবলী ব্যবহৃত হয় এবং সামান্য লোকের মুখ হইতে বিনির্গত হওয়াতে যে সকল পদাবলীর এক প্রকার গ্রাম্যতা দোষ জন্মে; তখন কাব্যকারদিগকে সেই সকল পদাবলীর ব্যবহারে সবিশেষ সাবধান হইয়া চলিতে হইবে। অন্যথা কাব্যের উপাদেয়ত্ব সম্ভবে না। সামান্য কবিওয়ালাদিগের গীত যে এক্ষণে উন্নতিশীল সাহিত্য সমাজে জঘন্য বলিয়া গণ্য হইয়া থাকে, প্রচলিত পদাবলীর প্রয়োগ বিষয়ে অসাবধানতা তাহার একটী প্রধান কারণ। প্রথম উদ্যমে মুখ হইতে যে সকল কথা বাহির হইয়াছিল, বোধ হয়, তাঁহারা গীত মধ্যে অবিকল সেই সকল কথা ব্যবহার করিয়া গিয়াছেন। কিঞ্চিৎ কষ্ট স্বীকার করিয়া উৎকৃষ্ট পদাবলীর নির্ব্বাচন করেননাই নতুবা তাঁহাদের কবিত্বশক্তি ছিল না এমত নহে। সে যাহা হউক, মেঘনাদে গ্রাম্যতা দোষ অতি অল্প দেখিতে পাওয়া যায়। নিম্নে উদ্ধৃত উদাহরণে “খেদাইয়া” শব্দের ন্যায় মেঘনাদের দুই এক স্থলে নীচভাষায় বিন্যস্ত দুই একটি পদ লক্ষিত হইয়া থাকে।
ষষ্ঠ সর্গে যজ্ঞাগারে মেঘনাদ যখন লক্ষ্মণের প্রতি শংখ ঘণ্টা নিক্ষেপ করেন। ঐ সময়ে কবির উক্তিতে বর্ণনা করা হইয়াছে।