এ স্থলে ইহা উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক নহে, যে এক্ষণে যেরূপ ভূরি পরিমাণে সংস্কৃত শব্দ সন্নিবেশিত করাতে বাঙ্গালা ভাষার উৎকর্ষ সাধিত হইতেছে, সেইরূপ বিদেশীয় ভাষার বাক্য বিন্যাসের রীতি অধিক পরিমাণে ব্যবহার করিলেও উহার অধিকতর উৎকর্ষলাভের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। বিশ্ববিখ্যাত পণ্ডিতবর আরিষ্টটল, পরকীয় ভাষার শব্দ বিন্যাসের প্রণালী অবলম্বন করাকে ভাষার শ্রীবৃদ্ধির একটী উপায় বলিয়া নির্দ্দেশ করিয়া গিয়াছেন। এক্ষণে যে ইংরেজী ভাষার সবিশেষ উন্নতি হইয়াছে, উল্লিখিত উপায়ের অনুসরণ তাহার একটী প্রধান কারণ। মেঘনাদকার, ইংলণ্ডীয় পণ্ডিতগণের সুপ্রথানুসারে স্বরচিত কাব্যের কোন কোন স্থলে গ্রীক্ ও রোমীয় প্রভৃতি ভাষার রীতি অবলম্বন করিয়াছেন। পাঠকগণের সন্তোষার্থ নিম্নে উহার দুই একটী উদাহরণ প্রদর্শিত হইতেছে।
এতেক কহিয়া বলী উলঙ্গিলা অসি
ভৈরবে!
কোমল কণ্ঠে স্বর্ণ কণ্ঠমালা
ব্যথিল কোমল কণ্ঠে! সম্ভাষি বিস্ময়ে
বসন্ত সৌরভা সখী বাসন্তীরে সতী
কহিলা,