পাতা:মেঘনাদ সমালোচন.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩২
মেঘনাদ সমালোচন৷

নয়নের সহিত শতদল দলের[১] উপমান ও উপমেয়ভাব স্পষ্টই লক্ষিত হইতেছে।

মালোপমা।

 অনেকগুলি উপমা একত্র থাকিলে মলোপমা হয়।

হায়, বিধিবশে, দেবি, সহি এ যাতনা
আমি! বীর পুত্ত্র ধাত্রী এ কনকপুরী,
দেখ, বীর শূন্য এবে; নিদাঘে যেমতি
ফল শূন্য বনস্থলী, জল শূন্য নদী!———

 নিরন্তর কাব্যের প্রতিপাদ্য বিষয় পড়িতে হইলে পাঠকের বিরক্তি জন্মে; এই নিমিত্ত কাব্যকারেরা উপমা প্রয়োগদ্বারা পাঠকের অন্তঃকরণকে নূতন নূতন মনোহর বিষয়ের প্রতি ধাবমান করিয়া থাকেন, নতুবা কেবল বর্ণনা উজ্জ্বল করা উপমা প্রয়োগের উদ্দেশ্য নহে। ভারতবর্ষীয় কবিগণের মধ্যে সুপ্রসিদ্ধ কালিদাস উপমা প্রয়োগ বিষয়ে অসামান্য নৈপুণ্য প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন। বোধ হয়, কোন দেশের কোন কবি উপমা প্রয়োগ বিষয়ে কালিদাসের সমকক্ষ নহেন। সে যাহা হউক, মেঘনাদ আদ্যোপান্ত


  1. যাহার সহিত উপমা দেওয়া যায় তাহাকে উপমান, আর যাহাকে তুলনা করা যায় তাহাকে উপমেয় কহে।