পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〔南贯 O এমন একটা লোক পৰ্যন্ত নেই। পিসিমা আছেন, কিন্তু সে না থাকারই भक्ष । সে খানিকক্ষণ চুপ ক’রে রইল, তারপর বললে—আপনাকে একটা কথা বলি দাদা। আপনি একবার তার সঙ্গে দেখা ক'রে আসুন। আপনাকে সে যে কি চোখে দেখে তা বলতে পারিনে দাদা। সেবার চাপাপুকুরে গিয়েছিলুম বৌদি বললে, আমার দাদার কথা কিছু জান ঠাকুরবি ? আপনি এদেশ ওদেশ ক’রে বেড়াচ্ছেন শুনে সে কেঁদে বঁাচে না । মাঝে মাঝে যখনই তার কাছে গিয়েছি, আপনার কথা এমন দিন নেই।--যে সে বলেনি। বলে, ভগবান আমার ভাইয়ের অভাব পূর্ণ করেছেন, দাদা আর শচীশকে। দিয়ে। এখনও পৰ্য্যন্ত ফি চিঠিতেই আপনার খোজ নেয়। তা বডড পোড়াকপালী সে, কারুর কাছ থেকে কোন স্নেহই সে কোন দিন পেল না ! আপনার পায়ে পড়ি দাদা, আপনি তাকে একবার গিয়ে দেখা দিয়ে আসুন, আপনি গেলে সে বোধহয় অৰ্দ্ধেক দুঃখ ভোলে। ছাদের আলিসার ওপর থেকে রোদ নেমে গেল, পাশের বাড়ীর চিলাছাদের ওপর বসে একটা কাক একঘেয়ে চীৎকার করছিল । • • • আমি জিজ্ঞাসা করলুম-সুরেন কি মোটেই বাড়ী যায় না ? টুনি বললে-সে একরকম না যাওয়াই দাদা। বছরে হয় তো দু’বার ; তাও গিয়ে এক আধা দিন থাকেন। তাও যান। সে কি জন্যে ? কিন্তী না কিসেই সময় যার কাছে যা খাজনা পাওয়া যাবে তাই আদায় করতে। তারপর অন্যান্য এক-আধটা কথাবাৰ্ত্তার পর টুনি চ'লে গেল। সেদিন বিকেলে সেনেট হলে একজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকের বক্ততা ছিল, তিনি কেমব্রিজ থেকে এসেছিলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে । বক্তৃতার বিষয়টি ছিল যেমনই চিত্তাকর্ষক,-বক্তৃতার অর্থাংশ ও বক্তার যুক্তিপ্রণালী ছিল তেমনই দুৰ্ব্বোধ্য। আরম্ভ হবার সময় ছাত্রেয় দলে হল ভরা থাকলেও বেগতিক বুঝে বক্তৃতার মাঝামাঝি তারা প্রায় সরে পড়েছিল। কেবল জনকতক নিতান্ত নাছোড়বান্দা রকমের ছাত্র তখনও হলের বিভিন্ন অংশে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ব’লে ছিল। বক্তা খ্যাতনামা