পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tյ8 মেদিনীপুরের ইতিহাস । ১৮৮১ খৃঃ অব্দে রূপনারায়ণ নদ পূৰ্ব্বধাদ পরিত্যাগ করিয়া নূতন খাদে প্রবাহিত হইলে, ভূগর্ভ হইতে কতকগুলি প্রাচীন মুদ্রা বাহির হইয়াছিল। মেদিনীপুরের তৎকালীন ম্যাজিষ্ট্রেটཨཱ་ཨཱ་ཧཱ་ཧྥུགས་ কালেক্‌টার উইল্সন সাহেব ও তমলুকের তৎকালীন সবডিভিজন্তাল অফিসার প্রত্নতত্ত্ববিদ্যু উমেশচন্দ্র বটব্যাল মহাশয় উহার কতকগুলি কলিকাতার এসিয়াটিক সোসাইটতে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। মুদ্রাগুলির অধিকাংশই সচ্ছিদ্র ছিল ; উহাদের উপর কিছুই থোদিত ছিল না। কোন কোনটির উপর পদ্ম, চক্ৰ, চৈত্য অথবা হস্তী, মৃগ, সিংহ প্রভৃতি জন্তুর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত ছিল। পণ্ডিতগণের অনুমান, ঐ সকল মুদ্রা খৃষ্ট-পূৰ্ব্ব চতুর্থ কি পঞ্চম শতাব্দীতে প্রচলিত ছিল। ঐগুলি তাম্রলিপ্তের সেই প্রাচীন ক্ষমতাশালী রাজবংশের মুদ্র হইলেও হইতে পারে ; সঠিক বলা যায় না। মৌর্য্য-রাজবংশের রাজত্বকালে ভারতবর্ষে ‘পুরাণ-নামক একপ্রকার চতুষ্কোণ রজতখগু মুদ্রারূপে ব্যবহৃত হইত। মগধ ও বঙ্গের নানা স্থানে ঐরুপ কয়েকটি ‘পুরাণ’ আবিষ্কৃত হইয়াছে। ১৮৬৮ খৃঃ অব্দে ( বাঙ্গালী ১২৭৫ সাল ) দীনবন্ধু মিত্র তমলুক নগরে একটি পুরাণ’ আবিষ্কায় করিয়াছিলেন। ভারতবর্ষে যে সময় পুরাণ ব্যবহৃত হইত, সে সময় দুই জাতীয় তাম্রমুদ্রারও ব্যবহার ছিল। প্রথম, বৃহৎ তাম্রথও হইতে কৰ্ত্তিত ক্ষুদ্র চতুষ্কোণ তাম্রমুদ্র ; দ্বিতীয়, ছাচে ঢালা ( Cast ) চতুষ্কোণ বা গোলাকার মুদ্র। দীনবন্ধু মিত্র তমলুকেও শেষোক্ত প্রকারের একটি তাম্রমুদ্রা পাইয়াছিলেন। বঙ্গের নানা স্থানে কুবাণবংশীয় রাজগণেরও কয়েকটি মুদ্রা

  • Proceedings of the Asiatic Society of Rengal, 1882, p. 112. বাঙ্গালার ইতিহাস-প্রথৰ ভাগ-রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, পৃঃ ৩২ ৷