পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু-রাজত্ব—তাম্রলিপ্ত-রাজ্য। '; o") এই কাকরাচোর পরগণাই রামচন্দ্রের উল্লিখিত কাকড়দেশ এবং এই কালু ভূঞাই সেই কৈবর্ত-রাজ । তৎকালীন বঙ্গদেশের ইতিহাস আলোচনা করিলেও দেখা যায় যে, ইহার প্রায় এক শতাব্দী পূৰ্ব্বে নদীমাতৃক বরেন্দ্রভূমে কৈবর্তগণের যথেষ্ট প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল ; সংখ্যায়ও তাহার কম ছিল না। সমস্ত নৌকা ও নৌবল তাহাদের করায়ত্ত ছিল। তৎকালীন পাল-রাজগণ তাহাদিগকে জলপথের রক্ষক বলিয়াই সমাদর করিতেন। পরে তাহদের প্রভাব এতদূর বিস্তৃত হইয়াছিল যে, তাহারা গৌড়ের অধিপতি দ্বিতীয় মহীপালদেবকে সিংহাসনচু্যত ও নিহত করিয়া মিথিলা হইতে বরেন্দ্র পর্য্যন্ত সমস্ত ভূভাগ অধিকার করে। উত্তরকালে রামপাল এই বিদ্রোহ দমন করিয়া পিতৃভূমি বরেন্দ্রের উদ্ধারসাধন করিয়াছিলেন । * সম্ভবতঃ ইহার পরেই কৈবর্তৃগণ নদীমাতৃক নিয়-বঙ্গের স্থানে স্থানে ক্ষুদ্রতর অধিকার প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল । অতঃপর সেনরাজবংশের অধঃপতনসময়ে খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে কাকড়দেশে প্রতিষ্ঠিত কৈবৰ্ত্ত-নায়ক কালু ভূঞা দক্ষিণরাঢ়ের অন্তভুত তাম্রলিপ্তের সামন্তরাজ গোপীচন্দ্রের রাজ্য অধিকার করিয়া লয়েন। ইহার পরে ঐ প্রদেশে গঙ্গবংশের অধিকার বিস্তৃত হয়। মাদল পাঞ্জীতে উৎকলাধিপতি অনঙ্গভীমদেবের রাজ্য-বিস্তৃতির যে বিবরণ আছে, তদ্বারাও আমাদের এই অকুমান সমর্থিত হয়। মাদল পাল্লীতে বিশেষভাবে উল্লিখিত হইয়াছে যে, অনঙ্গভীমদেব ভূঞাদিগকে পরাজিত করিয়া উত্তরদিকে কাসবাস নদী হইতে বড়দনাই নদী পৰ্য্যন্ত র্তাহার রাজ্যাধিকার বন্ধিত করিয়াছিলেন। । অনঙ্গ + বাঙ্গালায় ইতিহাস-রাখালদাস ধদ্যোপাধ্যায়—১ষ ভাগ, দশম পরিচ্ছেদ। t “By the grace of Lord Jagannath, by the blessings of