পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৯ মেদিনীপুরের ইতিহাস । মারহাট্টাদিগের লুণ্ঠন তয়ে মৃত্তিক মধ্যে স্থান প্রাপ্ত হইয়াছিল তাহ নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে । নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর মৃত্যুর পর যখন বঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন অরাজকতা বিরাজ করিতেছিল, সেই সময়েই মহারাষ্ট্রীয়গণ, সৰ্ব্ব প্রথমে বাঙ্গালায় প্রবেশ করিয়া সৰ্ব্বত্র লুঠপার্ট আরম্ভ করে। তাহারা ভোশল রাজার দেওয়ান ভাস্কর রাওর নেতৃত্বে চল্লিশ সহস্র অশ্বারোহী সৈন্ত্যের সহিত পঞ্চকোটের পাৰ্ব্বত্য-পথ দিয়া মেদিনীপুর, বৰ্দ্ধমান, বাকুড়া প্রভৃতি স্থানে আসিয়া উপস্থিত হয় । নিয়-বঙ্গের অন্যান্ত জেলা সমূহে বহু সংখ্যক ক্ষুদ্র ও বৃহৎ নদী এবং পথ সকলও প্রায়ই কর্দমাকীর্ণ থাকার, অশ্বারোহী সৈন্যের যাতায়াতের বিশেষ অসুবিধা দেখিয়া, তাহারা এই পাৰ্ব্বত্য-জেলা কয়টিতেই স্থায়ী 'ছাউনি নির্দেশ করিয়াছিল। ১৭৪০ খৃষ্টাব্দে আলীবর্দী খা বাঙ্গালা, বিহার ও উড়িষ্যার মুবাদারী পাইবার পর, উড়িষ্যার বিদ্রোহ দমন করিতে যুদ্ধযাত্রা করেন। পথে তিনি মেদিনীপুরে মেদিনীপুরের যে সকল জমিদার তাহার পক্ষাবলম্বন মোগল ও বর্গীয় করিয়াছিলেন তাহাদিগকে খেলাৎ ও উপঢৌকন *** প্রদান করিয়া যৎকালে বালেশ্বরের অভিমুখে অগ্রসর হইতে ছিলেন, সেই সময়, ময়ূরভঞ্জের রাজা সুবর্ণরেখার তীরে রাজঘাটে তাহাকে বাধা প্রদান করেন। * নবাব ময়ূরভঞ্জের রাজার সেনাদল পরাভূত করিয়া সুবর্ণরেখা নদী পার হন এবং ১৭৪১ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে মহানদী তীরের শেষ যুদ্ধে বিদ্রোহিগণকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করিয়া উড়িষ্যা অধিকার করেন । তখন শক্র পরাজিত বঙ্গে বগী । • Riyazus Salateen (translation ), p. 327. वाकांनाञ्च शठिशन-नवाशै-चांबण-शानणैक, भूः २०» ।