পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७br মেদিনীপুরের ইতিহাস লরেন্স। অগত্য উক্ত জমিদার অনন্তোপায় হইয়া ৰঞ্জিত রাজস্ব দিতে সম্মত হইয়া জামান দিলে তাহার দুর্গ তাহাকে পুনরায় ফিরাইয়৷ দেওয়া হয়। এইরূপে রামগড়, লালগড়, জামবনী, শিলদা প্রভৃতি মহালের জমিদারগণ একে একে কোম্পানীর বগুত। স্বীকার করিতে বাধ্য ইন। ফাণ্ডশন সাহেব আরও অগ্রসর হইয়া সিংহভূম, মানভূম ও বাকুড়া জেলার অন্তর্গত জঙ্গল-মহালের জমিদারদিগকেও পরাজিত করিয়া সেই সকল স্থানেও ইংরাজাধিপত্য সংস্থাপিত করিয়াছিলেন । * মুসলমান রাজত্বের শেষাংশে জঙ্গল-মহালের জমিদারগণ কতকটা অৰ্দ্ধ স্বাধীন রাজার দ্যায় বাস করিতেন। ফাগুশন সাহেবকে এক একটি মহালের প্রত্যেক জমিদারের সহিতই যুদ্ধ করিতে হইয়াছিল। এই অভিযানে চুয়াড়দিগের বিষাক্ত তীরে ও ব্যাধিতে কোম্পানীর সৈন্তক্ষয়ও যথেষ্ট হইয়াছিল। ইংরাজ সৈন্যদিগকে সেজন্য বিশেষ ক্লেশ ও অসুবিধা ভোগ · করিতে হয় ; কিন্তু পরিশেষে ইংরাজের বিজয় পতাকা একে একে সমস্ত অরণ্য দুর্গগুলিতেই উড্ডীন হইয়াছিল। ১৭৭০ খৃষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মেদিনীপুর জেলার সীমান্তে ঘাটশিলার পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের চুয়াড়গণ বিদ্রোহী হইয় উঠে। জঙ্গল জমিদারদিগের মধ্যে ঘাটশিলার জমিদার সৰ্ব্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী ছিলেন। তাহার পৈঙ্গবলও অধিক ছিল এবং একটি সুরক্ষিত দুর্গও ছিল। ফাগুশন এই দুর্গটি সম্বন্ধে লিখিয়াছেন,—“উহা জঙ্গলের মধ্যভাগে এক ঘাটশিলার বিস্তীর্ণ প্রান্তরে অবস্থিত। উহার ভূমি পরিমাণ বিরোধী জমিদার। ” বর্গ ফিট এবং উহা সুবৃহৎ ও সুগড়ীর পরিধারাঞ্জি দ্বারা পরিবেষ্টিত। চতুর্দিকে কঙ্করময় গড় প্রাচীর। উত্তর দিকে প্রধান দরজা এবং দক্ষিণ পশ্চিম কোণে

  • Firminger's Midnapore Records, 1763-67.