পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । ২৩৭ করাই তঁহাদের অঞ্চতম কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য ছিল এবং সে কার্ষ্যে ঐ সকল সৈন্তই তাহাদের সহায় ও সহচর ছিল। এই কারণে আত্মরক্ষা ও পরস্থাপহরণ উভয় কার্য্যেই অস্ত্র সজ্জার প্রয়োজন থাকায় পাইকগণ সৰ্ব্বদাই সশস্ত্র থাকিত । ১৭৬০ খৃষ্টাব্দে মেদিনীপুরে ইংরাজাধিকার প্রতিষ্ঠিত হইবার পর হইতেই ঐ দমু্যদলপতিদিগকে দণ্ডিত করিয়া দেশ মধ্যে শাস্তি স্থাপনের উপযোগিতা উপলব্ধ হইয়াছিল ; কিন্তু सङ्घकाव्णः ನಿ হ" ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত তাহার প্রতিকারের কোন চেষ্ট হয় নাই। ১৭৬৬ খৃষ্টাব্দে কোম্পানী সাব্যস্ত করেন, জেলার উত্তর ও পশ্চিম ভাগে জঙ্গল-মহালে সৈন্য পাঠাইয়া তত্ত্বৎ স্থানের জমিদারগণকে রাজস্ব প্রদানে বাধ্য করিতে হইবে, আর তাহদের দুর্গগুলি ভাঙ্গিয়া দুষ্টনীড় নষ্ট করিয়া দিতে হইবে। কিন্তু সৈন্য সংগ্রহে বিলম্ব ঘটায় কাৰ্য্যটি সত্বর অগ্রসর হইতে পারে মাই। ইতি মধ্যে ঐ কথা দেশ মধ্যে প্রচারিত হওয়ায়, ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভেই অনুন একশত ক্রোশ ব্যাপী সমস্ত জঙ্গল প্রদেশে ঘোরতর বিদ্রোহানল প্রজ্জ্বলিত হইয় উঠে। তখন মেদিনীপুরের তৎকালীন রেসিডেন্ট গ্রেহীম সাহেবের আদেশে লেপ্টেম্লান্ট ফাগুশন সাহেব ঐ বিদ্রোহ দমনের জন্য এক দল সৈন্ত্য লইয়া জঙ্গল-মহালে প্রবেশ করেন। ফাগুশন সাহেব ফেব্রুয়ারী মাসে কল্যাণপুরে উপস্থিত হইলে সে স্থানের জমিদার বিনা আপত্তিতে কোম্পানীর বগুতা স্বীকার করিয়া বন্ধিত রাজস্ব দিতে স্বীকৃত হয়েন। কিন্তু পার্শ্ববৰ্ত্তী ঝাড়গ্রাম মহালের জমিদার বগুতা স্বীকারে অসম্মত হইলে ফাণ্ডশন সাহেব তাহার দুর্গ অধিকার করিয়া छत्रल-मश्रणब झभिलांग्न !

  • Firminger's Midnapore Records, 1763-67, Letter No. 60. p. 48.