পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኟ« • মেদিনীপুরের ইতিহাস । জনকে ধরিয়া আনিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । কিন্তু সন্ন্যাসীদিগের সহিত যুদ্ধে তাছাকে পরাভূত হইয়াই আসিতে হইয়াছিল। ঐ বৎসরের অক্টোবর মাসে আবার সংবাদ পাওয়া যায় যে, অন্ত দুই দল সন্ন্যাসী বালেশ্বর জেল হইতে উত্তরদিকে অগ্রসর হইতেছে। যাহাতে তাহারা মেদিনীপুর জেলার মধ্যে প্রবেশ করিতে নাপারে সেজন্য কাপ্তেন হার্সের অধীনে একদল সেনা জলেশ্বরে প্রেরীত হইয়াছিল। সন্ন্যাসীরা এই সংবাদ পাইয়া দল ভাঙ্গিয়া জঙ্গলের মধ্যে চলিয়া যায় । হার্সে তাহাদিগকে ধরিতে পারেন নাই। নভেম্বর মাসে তাহারা পুনরায় মিলিত লইয়া ময়ূরভঞ্জে উপস্থিত হয়। মেদিনীপুর হইতে কাপ্তেন টমাস সসৈন্সে ক্ল’ছ’লিগের অনুসন্ধানে অগ্রসর হইলে তাহারা পাৰ্ব্বত্য পথে প্রয়াগের দিকে চলিয়া যায়। তবিষ্যতে যাহাতে তাহারা আর মেদিনীপুর জেলায় মধ্যে প্রবেশ করিয়া কোনপ্রকার উপদ্রব করিতে না পারে তাহার বিশেষ ব্যবস্থা করা হইলে আর তাহার এই জেলার মধ্যে - বিশেষ কোন উৎপাৎ করে নাই। সাহিত্য সম্রাট বস্কিমচন্দ্র ভারতের এই সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ভিত্তির উপরেই তাহার ‘আনন্দ মঠ নিৰ্ম্মিত করিয়াছিলেন । এই সকল হাঙ্গামা নিবারণ করিতে কোম্পানীর প্রার ৪০1৫e বৎসর সময় লাগিরাছিল। ইহার পর ইংরাজ রাজত্বে রাজকীর বিশৃঙ্খলার স্মরণীয় ঘটনা সিপাহী বিদ্রোহ। সিপাহী বিদ্রোহের সময় স্বৰ্গীয় রাজনারায়ণ বসু মহাশয় মেদিনীপুরের জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি তাহার আত্মচরিতে মেদিনীপুরের তৎকালীন অবস্থা সম্বন্ধে যাহা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন আমরা এস্থলে তাহা অবিকল উদ্ধত করিয়া দিলাম — “১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ হয়। সিপাহী বিদ্রোহের সিপাহী বিদ্রোহ ।