পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৪ মেদিনীপুরের ইতিহাস । বিধা ভূমি। উহা বাহির গড় ও ভিতর গড় নামে দুই ভাগে বিভক্ত। রাজবাটীকে কেন্দ্র করিয়া দুইটি স্বপ্রশস্ত পরিখা ঐ দুই গড়ের চতুর্দিকে বেষ্টন করিয়া আছে। বাহির গড়ে নিয়শ্রেণীর বহুসংখ্যক হিন্দু ও মুসলমানের বাস দৃষ্ট হয় ; সেকালে উহার বর্গ প্রভৃতির আক্রমণ হইতে রাজভবন সংরক্ষণের জন্য নিযুক্ত ছিল। ভিতর গড় রাজবাটী, দেবালয়, পূজার দালান, বৈঠকখানা, তোষাখানা, সদর মহাল, অন্দর মহাল প্রভৃতি বিবিধ খণ্ডে বিভক্ত। ঐ গড়ের মধ্যে সুন্দর কারুকার্য্য বিশিষ্ট কয়েকটি দ্বিতল ও ত্রিতল গৃহ আছে। গৃহগুলি নানাবিধ মনোহর দেশীয় ও বিদেশীয় শিল্পদ্রব্য ও জয়পুর, দিল্লী, লাহোর প্রভৃতি স্থান হইতে আনীত মুসলমান সম্রাটগণের বহুমূল্য প্রতিকৃতির দ্বারা মুসজ্জিত। প্রাসাদে প্রবেশের একটি মাত্র তোরণ এবং উহার মস্তকোপরি নহবতখান । গড়ের মধ্যভাগে সীতারাম জীউর মন্দির, একটি প্রাচীন শিবালয়, বিবিধ কারুকার্য খচিত সপ্তদশ চূড়া বিশিষ্ট রাসমণ্ডপ, দোলমঞ্চ ও শ্রেণীবদ্ধ ছয়টি শিবালয় আছে। নাড়াজোল রাজভবনের নিকটস্থ লিঙ্ক গড় নামক সুবৃহৎ পুষ্করিণীটি নাড়াজোলের তদানীন্তন অধিপতি রাজা মোহনলাল খানের একটি স্মরণীয় কীৰ্ত্তি। তিনি বহু অর্থ ব্যয় করিয়৷ এই সুন্দর পুষ্করিণীটি ও are a ও জমিদারীর নানা স্থানে আরও কয়েকটী পুষ্করিণী সুখাদ গ্রামের মঠ । খোদিত করিয়া দিয়াছিলেন। চিতুয়া পরগণার অন্তর্গত সখাদ গ্রামের মঠটও রাজা মোহনলাল কর্তৃক স্থাপিত। তিনি এজন্য লক্ষ মুদ্র ব্যয় করিয়াছিলেন। নাড়াজোল পরগণার মধ্যে ফতেগড় ও গড়গোপীনাথপুর নামে রাজাদিগের প্রতিষ্ঠিত আরও দুইটি প্রাচীন গড়ের ভগ্নাবশেষ আছে। বগী প্রভৃতির উপ नाफूाएछांठ-त्रछ ।