পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)వీty মেদিনীপুরের ইতিহাস । একটি সুউচ্চ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত প্রাচীর এবং অপর তিন দিকে অনতিউচ্চ প্রস্তর দেওয়াল আছে। আস্তানাটির মধ্যে পীর সাহেবের, তাহার সহোদরা ফতে খাতুনের ও লাল খাঁ ও তাজখী নামক দুই ভাগিনেয়র দেহ সমাহিত আছে । আস্তানার নিকটে তাহার কয়েকটা শিষ্যেরও সমাধি আছে । এই স্থানের প্রায় শত হস্ত পশ্চিমে পীর সাহেবের গুরুর সমাধি দৃষ্ট হয়। আস্তানাটার পার্শ্ববৰ্ত্তী একখানি মৃন্ময় গৃহে ফকির, মসাফির প্রভৃতি আশ্রয় প্রাপ্ত হইয়া থাকে । বৎসরের মধ্যে একদিন সন্নিহিত পাঁচখানি গ্রামের মুসলমানদিগকে আস্তানায় ভোজন করান হয়। এই সকল কার্য্যের ব্যয় নিৰ্ব্বাহের জন্য নবাবী আমল হইত যথেষ্ট ভূসম্পত্তি নিষ্কর দেওয়া আছে। পীর লোহানা সাহেবের আস্তানার অনতিদূরে একটি প্রাচীন ভগ্ন মন্দির দৃষ্ট হয়। লোকে উহাকে রঙ্কিনী দেবার মন্দির বলে। কিন্তু মন্দিরে এক্ষণে কোন মূৰ্ত্তি নাই। জনশ্রুতি, যে সময় ঐ মন্দিরে রঙ্কিনী দেবী ছিলেন, সেই সময় তাহার আহারের জন্য প্রতিদিন একটি মকুন্ত পৰ্য্যয়ক্রমে সন্নিহিত প্রত্যেক প্রামবাসা গৃহস্থকে প্রদান করিতে হইত। একদিন এক দুঃখিনী বিধবার পাল উপস্থিত হয়। বিধবার একটি অল্প বয়স্ক পুত্র ব্যতীত অঙ্গ কেহ ছিল না। পুত্রকে আহারের জন্য দেবীকে প্রদান করিতে হইবে, এই চিন্তায় দুঃখিনী জননী কাদিয়া আকুল হইলেন । দুঃখিনীর ক্রন্দনে মৰ্ম্মাহত হইয় পরদুঃখকাতর পীর লোহানী সাহেব বিধবার পুত্রের পরিবর্তে স্বয়ং দেবীর সন্নিধানে উপস্থিত হন। দেবীর সহিত পীর সাহেবের যুদ্ধ হইলে দেবী পরাস্ত হইয়া মন্দিরের চুড়া ভগ্ন করতঃ পশ্চিমাতিমুখে পলায়ন করেন। অতঃপর দেবী জঙ্গলভূমির নিবিড় কাননে প্রবেশ করিয়া এক রজকের