পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী। ●ፃ¢ মৃত্তিকান্তপে পরিণত করিয়াছে। এই উপলক্ষে ঐস্থানে যে বৃহৎ মেলাটা বসিয়া থাকে উহা তুলসী চারা যাত্রা নামে সুপরিচিত। বৈষ্ণবদিগের সমাধির উপর তুলসী চার রোপণ করা হইরা থাকে ; এইজন্য এই স্থানের ঐরাপ নাম হইয়াছে । তুলসীচার মাত্রার স্তায় বাখরাবাদের মেলাও প্রসিদ্ধ । বৈশাখ যাসের প্রথম দিবসে কেলেঘাই নদীর উপরে জগন্নাথ রাস্তায় যে সুদীর্ঘ পুরাতন পুলটি আছে, উহারই নিকটে এই মেলাটি বসে। পুলের নিকটে বসে বলিয়া উহাকে 'পোলো যাত্রী’ও বলিয়া থাকে। দাতনের প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে পূৰ্বে আলোচনা করা হইয়াছে। দাতনের জগন্নাথের মন্দিরের পাণ্ডারা বলেন যে, চৈতন্তদেব যখন নীলাচলে যাইতেছিলেন, সেই সময় তিনি এইখানে দস্ত ধাবন করিয়া দস্তু কাষ্ঠ নিক্ষেপ করিয়া যাওয়ায় এই স্থানের নাম দ্বাতন হইরাছে। চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের বহু পূৰ্ব্ব হইতেই যে এইস্থান দাতন নামে পরিচিত ছিল এবং বিশেষ প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিল তাহা চৈতন্যদেবের জীবনকালেই রচিত বৈষ্ণব গ্রন্থাদি হইতেও জানা যায়। এই কারণে চৈতন্তদেবের দস্ত ধাবন বা দম্ভ কাষ্ঠের সহিত যে এইস্থানের কোন সম্বন্ধ নাই তাহ বলা যাইতে পারে। আমাদের মনে হয়, পূৰ্ব্বোক্ত বুদ্ধ-দস্ত ধাবনের সহিত এই দাতন নামের বরং কোন সম্বন্ধ থাকিলেও থাকিতেপারে । দাতনের খামলেশ্বর মহাদেবের মন্দির এই স্থানের জন্যতম প্রাচীন কীৰ্ত্তি। উহাতে শিল্প নৈপুণ্যও আছে । মন্দিরটির প্রবেশ দ্বারের সন্মুখে একটি প্রকাও সুগঠিত প্রস্তরময় বণ্ড আছে । উছার সন্মুখের দুইটি পদও ভগ্ন এবং সেজন্য এখানেও কাল পাহাড়কেই দোৰী করা হইয় থাকে। কতদিন পূর্বে এই

  1. াতন ও চৈতন্থদেব।

झुंभाळश्वाब्रग्न मन्द्रि ।