পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இ মেদিনীপুরের ইতিহাস । ‘বৰ্দ্ধমান হয়। জৈনদিগের শেষ শ্রুতকেলির নাম ভদ্রবাহু। ভদ্রবাহুর শিষ্য-প্রশিষ্যে সমগ্র ভারত, পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল । তন্মধ্যে প্রথম ও প্রধান শিষ্যের নাম গোদাস । এই গোদাস হইতে চারিটি শাখার স্বষ্টি হয়। (১) “তাম্রলিপ্তিকা” -তমলুক, (২) “কোটিবর্ষীয়া”—দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত দেওকোট পরগণ, (৩) “পুও,বৰ্দ্ধনীয়া”—মালদহ ও বগুড়া জেলা, (৪) দাসী কৰ্কটীয়া—সম্ভবতঃ মানভূম জেলা। * এই শাখা-চতুষ্টয়ের নাম হইতে জানা যায় যে, দুই হাজার বর্ষের পূৰ্ব্বতন কালেও মেদিনীপুর জেলায় জৈনদিগের বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল এবং তথায় তাহাদের এক শক্তিশালী শাখারও আভু্যদয় হইয়াছিল। মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের অভু্যদয় এক সময়েই হইয়াছিল এবং উভয়েই ব্রাহ্মণ অপেক্ষ ক্ষত্রিয়ের প্রাধান্ত স্বীকার করিয়াছিলেন। বৌদ্ধযুগে উভয়েই বৈদিক কৰ্ম্মকাণ্ডের নিন্দ ও জ্ঞানতাম্রলিপ্ত । কাণ্ডের আবশ্যকতা ঘোষণা করেন। বুদ্ধদেব পয়তাল্লিশ বৎসরকাল আর্য্যাবৰ্ত্তের নানা স্থানে ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়া অশীতিবর্ষ বয়সে কুশীনগরে দেহ ত্যাগ করেন ( ৪৭৭ খৃঃ পূৰ্ব্বাব্দ) । বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মের প্রভাব সমুদায় এসিয়ায় বিস্তৃত হইয়াছিল। ঐ সময় তাম্রলিপ্ত বৌদ্ধদিগের একটি প্রধান স্থান ছিল। বৌদ্ধগ্রন্থ-সমূহের নানা স্থানে তাম্রলিপ্তের নাম পাওয়া যায়। তাম্রলিপ্তের বাণিজ্যখ্যাতিও সে সময় সমুদয় সভ্য-জগতে বিস্তৃত হইয়াছিল। } যে বৎসর বুদ্ধদেবের জীবলাল সমাপ্ত হয়, সেই বৎসর বঙ্গদেশের রাজ সিংহবাহুর পুত্র বিজয়সিংহ সিংহল • বিশ্বকোষ-১৭শ ভাগ-পূঃ ৪-৬ , , # Hunter’s Orissa. Vol. I., p. 309.,