পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অলক্ষ্মীর ছলনা
৫৫

 এর নাম গাড়শী ব্রত; যে করে তার ঘরে লক্ষ্মী বাঁধা থাকেন, অলক্ষ্মী ঢুকতে পায় না।

প্রণাম।  ওঁ বিশ্বরূপ্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্ব্বতঃ পাহি মাংদেবি মহালক্ষ্মি নমোঽস্তুতে॥

 আশ্বিন-সংক্রান্তির পূর্ব্বেই যদি কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মী ব্রত হইয়া যায় তবে গাড়শীব্রতে অলক্ষ্মীদেবীর উদ্দেশে পূজা করা বিধি। লক্ষ্মীর উপাসনা না হইয়া গেলে অলক্ষ্মীর অর্চ্চনা হইতে পারে না। অলক্ষ্মীর ধ্যানটী শুনুন।

ওঁ অলক্ষ্মীং কৃষ্ণবর্ণাঞ্চ ক্রোধনাং কলহপ্রিয়াং।
কৃষ্ণবস্ত্র পরিধানাং লৌহাভরণ ভূষিতাং
ভগ্নাসনস্থাং দ্বিভুজাং শর্করাঘৃষ্টচন্দনাং।
সন্মার্জনী সব্যহস্তাং দক্ষহস্তস্থ শূর্পকাং॥
তৈলাভ্যঙ্গিত গাত্রাঞ্চ গর্দ্দভারোহণাং ভজে॥

 অনেকে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, এমন অলুক্ষণে ঠাক্‌রুণের ভজনা করাই বা কেন? বোধ হয়, দুষ্ট স্বরস্বতীর ন্যায় দুষ্ট লক্ষ্মী ছলে বলে কৌশলে কাহারও ঘাড়ে না চাপেন এজন্য করযোড়ে ভয়ে ভয়ে যেন বলা হয় “তোমাকে ঠাক্‌রুণ নমস্কার, তুমি আর এদিকে এসো না।”

 শারদীয় কোজাগরী লক্ষ্মীব্রতের দেশব্যাপী অনুষ্ঠান সর্ব্বজন বিদিত। এজন্য বাহুল্য ভয়ে তাহা পৃথকরূপে বিবৃত হইল না। লক্ষ্মীদেবীর অভ্যর্থনার নিমিত্ত কি ভদ্র কি ইতর, গ্রামের সকল গৃহই বিচিত্র আলিপনায় সুশোভিত হইয়া থাকে! বালিকা ও যুবতীগণের আনন্দের সীমা নাই। আজ ঘরে স্বয়ং