বুড়া ঠাকুরাণী বা বনদেবী মহাদেবের প্রিয় কন্যা। বনে ইঁহার অধিষ্ঠান। এজন্য অন্তঃপুরের প্রাঙ্গণে সেওড়া ও জবাফুলের গাছের ক্ষুদ্র শাখা পুঁতিয়া কল্পনার সাহায্যে অরণ্য সৃজন করিতে হয়। একটা “পুকুর” খনন করিয়া উহার চতুঃপার্শ্বে পিটুলি গুলিয়া আলিপনা দিবে। কদলীপত্রের ডাঁট ৯|১০ অঙ্গুলী পরিমাণে খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিয়া লইবে। অতঃপর সাদা হল্দে ও লাল এই তিন রঙ্গের পিটুলি জলে না গুলিয়া তদ্বারা অর্দ্ধবৃত্তাকারে শাখা গঠন পূর্ব্বক পূর্ব্বোক্ত এক খণ্ড কলা পাতার ডাঁটের উপর স্থাপন করিবে। শাঁখার জমিন সাদা, ও দুই দিকে লাল ও হল্দে পাড়। এইরূপ দুইটা বা এক জোড়া শাঁখা একটা ডাঁটের উপর রাখিবে। ব্রতিনীগণ প্রত্যেকে এক জোড়া শাঁখা হাতে তুলিয়া কথা শ্রবণ করিবেন। তৎপর লাল পিটুলি জলে গুলিয়া কতকটা উক্ত সেওড়া ও জবার ডালের গােড়ায় ও বাকীটুকু “পুকুরে” ঢালিয়া দিবে।
পুরােহিত বনদুর্গার পূজা করিয়া থাকেন। নৈবেদ্যের প্রধান উপকরণ দই, দুধ, কলা এবং কলাপাতার উপর রক্ষিত মুড়ি, মুড়কি, মােয়া, ছাতু, লাড়ু ইত্যাদি।
বুড়াঠাকুরাণী-ব্রত কথা।
পার্ব্বতী দুঃখ ক’রে মহাদেবকে বােল্চেন, তুমি দু’দিন যাবৎ ভিক্ষা করতে বেরােও নাই; এমনি ক’রে বসে থাকলে সংসার চল্বে কিরূপে? মনে করেছিলেম তােমাকে কিছু বলবো না; না বলেই বা কি করি। বাপের বাড়ীর গহনা-গাঁটী যা ছিল তা দিয়েই এদ্দিন কষ্টে শ্রেষ্টে চালিয়েছি। শাঁখা পরবার সাধ