ক’রে একত্র আহার করবেন মনে ক’রে দা-কোদালে খাবার ঘরে তিনটী জায়গা করালেন। পঞ্চাশ ব্যঞ্জন ভাত দেখে মামা ও মামীর চক্ষু স্থির। তার পর রাজা এলেন। “ওঃ হরি! ‘রাজা’ তো নয়, আমাদের সেই দা-কোদালে!” এই ব’লে মামা ও মামীর যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো। তাদের তখন আহ্লাদের সীমা নাই।
মামা রাজসংসারের কর্ত্তা হলেন। দা-কোদালের এখন আদর যত্ন কত! এটা খাও, ওটা খাও ব’লে মামী ভাগনেকে কেবলি দু’বেলা দই দুধ ক্ষীর সন্দেশ ও দুধের সর খাওয়াতেন। খাব না বল্লেও ছাড়েন না। একদিন বেশী দুধের সর দেখে দা-কোদালে মামীকে রহস্য করে বলেন,
সেই মামা সেই মামী পুকুর পাড়ে ঘর।
এখন কেন মামা মামী দুধে এত সর॥
মামী লজ্জিত হলেন। তার পর দা-কোদালে এক রাজকন্যা বিবাহ কল্লেন। তাঁরা ক্ষেত্র দেবতার ব্রত পৃথিবীতে প্রচার কল্লেন। এ ব্রত কল্লে ক্ষেতে ধান হয়, ধন জন হয়, দেশে দুর্ভিক্ষ হয় না।
প্রণাম। ক্ষেত্রপাল নমস্তুভ্যং হলধরং বরপ্রদং।
ঈতি-ভয় হরংদেবং ত্বাং সদা প্রণমাম্যহং।
বুড়াঠাকুরাণী ব্রত।
ক্ষেত্র ও “বুড়াঠাকুরাণী” ব্রত এক দিনেই কর্ত্তব্য। রমণীদের বিশ্বাস, এ দুইটা ব্রত না করিলে অন্যান্য বারব্রতের অনুষ্ঠান নিষ্ফল।