বলিতাম, তখন নিজের জ্ঞানের অল্পতা বুঝিতে পারিতাম।”
১৮১৭ খৃষ্টাব্দে তাঁহার পিতা ব্রিষ্টল্ নগরে স্থানান্তরিত হন। শৈশবের ক্রীড়াভূমি এক্সিটার পরি-ত্যাগ করিতে তাঁহার তরুণ হৃদয়ে অতি আঘাত লাগিয়াছিল; কিন্তু, এই ব্রিষ্টল্ নগরেই তাঁহার পর-জীবনের মহৎ কার্য্যাবলীর সূচনা হয়। ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে তিনি কয়েকটি বালিকার শিক্ষাকার্যের ভার লইয়া শিক্ষয়িত্রীর কার্য্য। ওয়াইট্ দ্বীপে গমন করেন। তৎপরে বিদেশ-ভ্রমণে বহির্গত হন। স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিয়া তিনি তাঁহার পিতার স্থাপিত বিদ্যালয়ে শিক্ষা দিতে আরম্ভ করেন। এই কার্য্যে তাঁহার মাতা ও ভগিনী তাঁহাকে সাহায্য করেন। পূর্ব্বে তাঁহার পিতাই এই বিদ্যালয়ে প্রধানতঃ শিক্ষা দিতেন; কিন্তু, এই সময় হইতে তিনি শিক্ষকতা পরিত্যাগ করিয়া ধর্ম্মাচার্য্যের কার্য্যেই সম্পূর্ণরূপে নিযুক্ত হন। তৎপরে ১৮৩১ খৃষ্টাব্দে মেরী কার্পেণ্টার্ রবিবাসরীয় বিদ্যালয়ের সুপারিণ্টেণ্ডেণ্টের পদ গ্রহণ করিলেন। এই সময়ে তাঁহার ছাত্রদের তত্ত্বাবধান উপলক্ষে তাহাদের গৃহে গমন করিয়া, এই সকল দরিদ্র এবং অজ্ঞান বালকদিগের দুর্দশা উপলব্ধি করেন। ঈশ্বর তাঁহাকে যে মহৎ কার্য্যের জন্য এ জগতে প্রেরণ