মহাত্মা রাজা রামমােহন রায়
ও
ডাক্তার টকারম্যান্।
“ক্ষণমিহ সজ্জনসঙ্গতিরেকা
ভবতি ভবার্ণবতরণে নৌকা।”
এই মহাজনবাক্য মেরী কার্পেণ্টারের জীবনে সম্যক্-রূপে প্রতিফলিত হইয়াছিল। তিনি পরার্থে আত্ম-বিসর্জ্জনে প্রস্তুত হইয়াছিলেন বটে; কিন্তু, কোন্ পথাবলম্বন করিলে শ্রেয়ঃ হইবে, তাহা তখনও অবধারণ করিতে পারেন নাই। তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া মহাদুশ্চিন্তার মধ্যে দিন অতি-বাহিত করিতে লাগিলেন।
পর বৎসরে (১৮৩৩ খৃষ্টাব্দে) প্রাতঃস্মরণীয় মহাত্মা রাজা রামমােহন রায় এবং আমেরিকার জন-মহাত্মা রাজা
রামমােহন রায়।হিতৈষী ডাক্তার টকারম্যান্ (Philanthrophist Dr. Tuckerman) ইংলণ্ডে গমন করেন। এই দুই মহাপুরুষের সংসর্গে আসিয়া তাঁহার কার্যকারিণী শক্তি বিকাশ প্রাপ্ত হইল। এই দুই মহাত্মা তাঁহার জীবনের গতি দুই দিকে ফিরাইয়া দিলেন। রাজা রামমােহন রায় ভারতের দিকে তাঁহার মনােযােগ আকর্ষণ করেন এবং