সংস্রবে আসিয়া লােকে, বিশ্বাস এবং আশাতে পরিপূর্ণ হইয়াছেন এবং যিনি নৈতিক অধোগতি হইতে মানবকে নৈতিক উন্নতির পথে লইয়া যাইবার এক সুন্দর উপায় উদ্ভাবন করিয়াছিলেন—যিনি শেষ জীবনে পূর্ব্বদেশীয় স্ত্রীলােকদিগের শোচনীয় অবস্থায় দ্রবীভূত হইয়া ভারতবর্ষে চারি বার গমন করিয়া সেই দেশের লােকদিগকে সুশিক্ষায় আগ্রহান্বিত করিয়াছিলেন—প্রত্যেক মানবীয় দুঃখ-দুর্দ্দশা যাঁহার দয়া আকর্ষণ করিয়াছে; কিন্তু বিশ্বাস ভগ্ন করিতে পারে নাই—যিনি প্রকৃত আত্মোৎসর্গের দ্বারা পাপপঙ্কে নিমজ্জিত মানবকে উদ্ধার করিয়া এবং ধর্মপথে আনয়ন করিয়া যীশু খৃষ্টের পদানুসরণ করিয়াছিলেন—
তাঁহার প্রেম এবং দয়ার কার্য্য বিস্তৃত করিবার অভিপ্রায়ে
যাঁহারা তাঁহার নামে অনাথাশ্রম স্থাপন করিয়াছেন,
তাঁহারা তাঁহার গৌরবময়ী স্মৃতি রক্ষার্থ এই
স্মৃতিচিহ্ন স্থাপন করিয়া তাঁহাদের
অভিপ্রায় পূর্ণ করিলেন।”
জন্ম, এক্সিটার নগরে, এপ্রিল ৩রা, ১৮০৭ খৃঃ।
মৃত্যু, ব্রিষ্টল নগরে জুন ১৫ই, ১৮৭৭ খৃঃ।