রসেতে রসিক নারী কামের কামিনী।
দেশের লোকেতে ডাকে চিকন গোয়ালিনী॥
যদিও যৌবন গেছে তবু আছে বেশ।
বয়সের দোষে মাথার পাকিয়াছে কেশ॥
কোন দন্ত পড়িয়াছে কোন দন্তে পোকা।
সোয়ামী মরিয়া গেছে তবু হাতে শাখা॥
চলিতে চলিয়া পড়ে রসে থলথল।
শুখাইয়া গেছে তার যৌবন-কমল॥
তবু মনে ভাবে যে সে চিকন গোয়ালিনী।
বৃদ্ধ বয়সে যেমন ভাবের ভামিনী[১]।
সংসারেতে আছে যত লুচ্চা লোকন্দরা[২]।
গোয়ালিনীর বাড়িত গিয়া করে ঘুরাফেরা॥
শব্দে শুনি গোয়ালিনী পান-পড়া জানে।
ঘরতনে[৩] কুলের বধূ বাইরে টাইনা আনে॥
তেলপড়া দেয় যদি চিকন গোয়ালিনী।
সুয়ামী এড়িয়া[৪] যায় ঘরের কামিনী॥
আর একটা ঔষধ শুনি আছে তার কাছে।
গিরধনির কানে আর কাল-পনা মাছে॥
কিছু কিছু পেচার মাংস বাটিয়া গুটিয়া[৫]।
তিল পরমাণ বড়ী করে রৌদ্রে শুকাইয়া॥
এক এক বড়ীর দাম পাচ থুরি[৬] কড়ি।
এরে খাইলে পাগল হয় পাড়ার যত নারী॥
বাসী জলে বড়ী খায় উঠিয়া বিয়ানে[৭]।
সতী নারী পতি ছাড়ে ঔষধের গুণে॥
পাতা:মৈমনসিংহ গীতিকা (প্রথম খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৪
মৈমনসিংহ-গীতিকা