( ৩ )
কমলা—যৌবনাগমে
দেখিতে সুন্দরী কন্যা পরথম যৌবন
কিঞ্চিৎ করিব তার রূপের বর্ণন॥
চান্দের সমান মুখ করে ঝলমল।
সিন্দুরে রাঙ্গিয়া ঠুট[১] তেলাকুচ ফল॥
জিনিয়া অপরাজিতা শোভে দুই আখি।
ভ্রমরা উড়িয়া আসে সেই রূপ দেখি।
দেখিতে রামের ধনু কন্যার যুগ্ম ভুরু।
মুষ্টিতে ধরিতে পারি কটিখানা সরু॥
কাকুনি শুপারি গাছ বায়ে যেন হেলে।
চলিতে ফিরিতে কন্যা যৌবন পড়ে ঢলে॥
আষাঢ় মাস্যা বাশের কেরুল[২] মাটী ফাট্যা উঠে।
সেই মত পাও দুইখানি গজন্দমে[৩] হাটে॥
বেলাইনে[৪] বেলিয়া তুলছে দুই বাহুলতা।
কণ্ঠেতে লুকাইয়া তার কোকিলে কয় কথা॥
শ্রাবণ মাসেতে যেন কাল মেঘ সাজে।
দাগল-দীঘল[৫] কেশ বায়েতে বিরাজে॥
কখন খোপা বান্ধে কন্যা কখন বান্ধে বেণী।
রূপে রঙ্গে সাজে কন্যা মদনমোহিনী॥
অগ্নি-পাটের শাড়ী কন্যা যখন নাকি পরে।
স্বর্গের তারা লাজ পায় দেখিয়া কন্যারে॥
আষাইঢ়া জোয়ারের জল যৌবন দেখিলে।
পুরুষ দূরের কথা নারী যায় ভুলে॥১—২২