তোমার বাপে পাইছে ধন মাটী খুড়িয়া।
নিজে ভোগ করে ধন আমারে ভারাইয়া॥”
পায়েতে ধরিয়া সুধন কহিল “হুজুর।
মিছা রটনা হইল নহি আমরা চোর॥”
এই কথা জমিদার যখন শুনিল।
পাষাণ চাপিতে বুকে হুকুম করিল॥
“পিতাপুত্রে এক সঙ্গে দেও পাষাণ-চাপ।
মোহর না দিলে জান্য নাহি ইতে[১] মাপ॥” ১—৫২
( ৮ )
কারকুনের চাকলাদারী
এই কথা শুনিয়া কারকুন হরষিত মনে।
উগাইল[২] যত খাজনা ডাক্যা প্রজাগণে॥
পাঠাইয়া সেই খাজনা জমিদার গোচরে।
চাকলাদারীর লাগি আর্জি করে সুবিস্তরে[৩]॥
খাজনা পাইয়। জমিদার খুসী যে হইয়া।
চাকলাদারীর সনদ একখান দিল যে পাঠাইয়া॥
সনদ পাইয়া কারকুন কি কাম করিল।
কমলার ঘরে গিয়া দাখিল যে হইল॥
কমলারে ডাকি কয় “শুন গো সুন্দরী।
আইজ হইতে হইল আমার এই চাকলাদারী॥
তোমার সঙ্গে মোর যদি বিয়া হয়।
সুখেতে থাকিবা কন্যা কইলাম সমুদয়॥
মনের সুখেতে করবা মোর চাকলাদারী।
চিরদিন কয়বাম আমি তোমার চাকুরী॥