তব কাংসপিত্তলের দেহ অলঙ্কার।
তুমি নিয়া যাহ মোর রত্ন অলঙ্কার॥
খেয়াঘাটের নৌকাখানা মোর ঠাই দিয়া।
আপনার ঘরে তুমি সুখে রহ গিয়া॥”
এত শুনি ডুমুনী যে গেলেন হরিষে।
নৌকার উপরে চণ্ডী ডুমুনীর বেশে॥
দেড় প্রহর বেলা আছে আড়াই প্রহর বাদে।
আসিয়া মিলিল শিব চণ্ডীকার ফাঁদে[১]॥
দেখিল অদ্ভুত নদী অতি খরস্রোত।
নৌকার উপরে দেখে কামিনী অদ্ভুত॥
ডাকিয়। শঙ্কর বলে “নৌকা আন ঘাটে।
দূরেত যাইবারে চাহি পার কর ঝাঠে[২]॥”
সুকবি নারায়ণ দেবের সুরস পাচালী।
পয়ার প্রবন্ধে বলি এক যে লাচারী[৩]॥
খোয়াঘাটে বসিয়া শঙ্কর।
“ডুমুনী ডুমুনী” করি ডাক ছাড়ে অধিকারী[৪]
“নৌকা লইয়া আসহ সত্বর॥”
ডাক দিয়। বলে শিব “পার হৈলে কিছু দিব
কেন পার না কর আমারে।
বেলা হৈল অতিশয় বিলম্ব উচিত নয়
যাব আমি পদ্ম তুলিবারে॥”
কৌতুকেতে মায়া করি বলিল ডুমের নারী
“শুন শুন দেব শূলপাণি।
মোর ডোম নাহি ঘরে এত ডাক ডাক কারে
ঘাটেতে নাহিক নৌকা আনি॥