যেই আছে নৌকাখানি বাগে বাগে বহে পানি
কেমন করিয়া হৈবা পার।
ভাঙ্গা কেরুয়াল[১] খান না ধরে জলের টান
শিচিয়া[২] না পারি রাখিবার॥
এই ঘাটে খেয়া করি দেন প্রতি নয় খুরী[৩]
দিবেত উচিত খেয়া করি।”
ডাক দিয়া বলে শিব “পার হৈলে কি কি দিব
শুন শুন সরুয়া ডুমুনী॥
ঝুলিতে আছে ইন্দ্রাসন সংসারের সার ধন
পার হৈলে কিছু দিতে পারি॥”
বুকেতে চাপর মারি কহিছে ডুমের নারী
“আমারে ভারিয়া যাইতে আশা।
খেয়া দিতে ভাঙ্গের গুড়া পার হৈতে চাহ বুড়া
দূর হওরে ভাঙ্গর মুনছা[৪]॥”
“ডুমুনীরে না নিন্দা কর যদি কিছু খাইতে পার
ত্রিভুবন নয়নগোচর।
যুগ পথে মন দর ঝিমাইতে সুখ বড়
সদাই আনন্দ কলেবর॥”
হাসি বলে ডুমের নারী “নায়ে উঠ ত্বরা করি
মনে কিছু না করিও দ্বিধা।
একবার করিব পার ত্রিভুবনে জানাবার
ঝুলীকাথা থুইয়া যাহ বান্ধা॥”
সংসার মোহিত করে হেন রূপ চণ্ডী ধরে
দেখি শিবের সাত পাঁচ মন।
রমণ করিতে আশ শিবের মনে অভিলাষ
নারায়ণ দেবের সুরচন॥
পাতা:মৈমনসিংহ গীতিকা (প্রথম খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দস্যু কেনারামের পালা
২০৯
27—1918 B.T.