তুলিয়া[১] গাঁথিলাম মালা মালা হইল বাসি।
এমন যৈবনকালে বন্ধু হইল বৈদেশী॥
রাইত যায় আমার আশে দিনে আইব বলি[২]।
পন্থের পানে চাইয়া থাক্তে চক্ষে পড়ে বালি॥”
এইমত কান্দে কন্যা সকরুণ মন।
ওদিকে হইল কিবা শুন বিবরণ॥
রাজা যে মারিল ডঙ্কা সহরে বাজারে।
যেজন ধরিয়া দিবে তার দুষমনেরে॥
জাতি নাশ কৈল দুষমন কুলে দিল কালি।
দুষমনে ধরিয়া রাজা দিবে নরবলি॥
চুটিয়া চুটী[৩] গাইল মালাবতীর ঠাঁই।
তোমার সোয়ামীরে ধইরা নিছে[৪] আর রক্ষা নাই॥
শিরেতে পড়িল বাজ বুকে পড়ে হানা।
ভূমিতে পড়িয়া কান্দে রূপবতী কন্যা॥
“শুন শুন পুনাই ধর্ম্মের মাও গো
(ছাইড়া দে[৫])।
কি শুনিলাম কানে ওগো, কি শুনিলাম কানে
(ছাইড়া দে)॥
রাজার ঘরে জন্ম লইয়া হইলাম বনবাসী
আর কারে বা দিব দোষ কপালেরে দোষি গো
(ছাইড়া দে)।
নিশিরাইতে সঁপ্যা[৬] দিল অভাগিনী মাও
ভাব্যাচিন্ত্যা আন্ধাইর পথে বাড়াইলাম পাও গো
(ছাইড়া দে)॥