এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পইড়া রইন দালান কোঠা যত দাসদাসী
বন্ধুরে লইয়া আমি হইলাম বনবাসী গো
(ছাইড়া দে)।
দৈবযোগে ধর্ম্ম-পিতার সনে হইল দেখা
অভাগিনীর ভাগ্যে বিধি সুখের পাইলাম দেখা গো
(ছাইড়া দে)॥
মা ভুললাম, বাপ ভুললাম, ভুললাম বাড়ীঘর
এই ছিল কর্ম্মের লেখা আপন হইল পর গো
(ছাইড়া দে)।
বানাইয়া পানের খিলি তুল্যা না দিলাম বন্ধুর মুখে গো
(ছাইড়া দে)॥
জ্বালাইয়া ঘির্তের বাতি একদিন না দেখিলাম
—বন্ধুর চান্দ মুখ গো
ফালাইয়া[১] শীতল পাটি না শুইলাম বন্ধুর সনে গো
(ছাইড়া দে)।
দুই দিন না বঞ্চিলাম সুখের গিরবাস[২]
কর্ম্ম ফেরে অভাগিনী হইল নৈরাশ গো
(ছাইড়া দে)॥
গাঁথিয়া পুষ্পের হার একদিন নাহি দিলাম বন্ধুর গলে গো
রাঁধিয়া চিকণের ভাত তুইল্যা না দিলাম বন্ধুর মুখে গো
(ছাইড়া দে)।
দেইখা আসি ধর্ম্মের মাও গো ছাইড়া দে॥
* * * *
33—1918 B.T.